কী ভাবে কাজ করবে এই মেশিনটি। বলা হয়েছে, এই পরিষেবার আবেদন করবেন যে ব্যক্তি, তাঁর ইচ্ছা মতো কোনও একটি স্থানে ওই যন্ত্রটি নিয়ে যাওয়া যাবে। মানে যেখানে তাঁর মৃত্যু হোক বলে চাইছেন তিনি, সেখানেই সেই যন্ত্রটিকে নিয়ে যাবে সংস্থা। তাঁরা সেখানেই পুরো বিষষয়টি পরিচালনা করবেন। এই গোটা পরিকল্পনার পিছনে আছেন 'ডক্টর ডেথ', যাঁর আসল নাম Philip Nitschke। তাঁকে সকলে মৃত্যুর চিকিৎসক বলেই চেনে। সুইৎজারল্যান্ডে ইচ্ছামৃত্যুর অনুমতি রয়েছে। গত ১ বছরে প্রায় ১৩০০ জন ইচ্ছামৃত্যু বরণ করেছেন সে দেশে। সেই প্রক্রিয়া এমন যন্ত্রের মাধ্যমে কোনওদিনই হত না। এ বারে একটি যন্ত্র তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া আরও সহজে পরিচালনা করা যাবে বলে মনে অনেকের।
advertisement
আরও পড়ুন: ৪৫ বছর ধরে হাত উঁচু করে আছেন এই সাধু, অলৌকিক গল্প শুনলে আপনি চমকে যাবেন
এই যন্ত্রটির নাম দেওয়া হয়েছে সারকো। প্রস্তুতকারক সংস্থার তরফ থেকে বলা হয়েছে, আগামী বচৎ, অর্থাৎ ২০২২ সাল থেকে এই সারকো বাজারে বিক্রি করা হবে। এই যন্ত্রটি তৈরি করতে বিপুল খরচ, তবে আশা করা যায়, এটি বাজারে সাফল্য লাভ করবে, জানিয়েছেন সংস্থার প্রধান। নানা মহল থেকে অবশ্য সমালোচনাও শুনতে হচ্ছে প্রস্তুত করার সংস্থাকে। বলা হয়েছে, এটি হল একটি মহিমান্বিত গ্যাস চেম্বার। কেউ কেউ আবার বলছেন, আত্মহত্যার প্রবণতাকে একরকম উদযাপন করা শেখাচ্ছে এই মেশিন।
আপাতত সারা পৃথিবীতে এই সারকো-এর দুটি প্রোটোটাইপ রয়েছে। তবে প্রস্তুত কারক সংস্থার তরফ থেকে বলা হয়েছে, আগামী বছরের মধ্যে তৃতীয় একটি মেশিনও প্রস্তুত করে দেওয়া সম্ভব হবে, যা কাজে লাগবে সুইৎজারল্যান্ডের মানুষের।