আরও পড়ুন- আগামী বছরের মধ্যেই মিটে যাবে অসম-অরুণাচল প্রদেশ সীমানার সমস্যা: অমিত শাহ
১৮৭৮ সালে অমৃতসরে জন্মগ্রহণ করেন গোলাম মোহাম্মদ বকশ বাট। কুস্তিগীরদের পরিবারেই জন্ম হয়েছিল গামার। ১৯১০ সালে ওয়ার্ল্ড হেভিওয়েট খেতাব লাভ করেন গামা। শোনা যায়, মাত্র ১০ বছর বয়সেই ৫০০ বার ডন বৈঠক করতেন তিনি এবং ৫০০ বার পুশ আপও অন্তর্ভুক্ত ছিল তার রোজের রুটিনে, জানিয়েছে Google। ১৮৮৮ সালে, গামা একটি ডনবৈঠক প্রতিযোগিতা জিতেছিলেন যাতে উপমহাদেশ জুড়ে ৪০০ জনেরও বেশি কুস্তিগীর অংশগ্রহণ করেছিলেন। ওই প্রতিযোগিতায় জয়ের পরেই অল্প বয়সেই সুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন গামা।
advertisement
গামার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কৃতিত্বের মধ্যে একটি হল ১৯০২ সালে ১,২০০-কেজির পাথর উত্তোলন! সেই পাথরটি এখন বরোদা মিউজিয়ামে রাখা আছে বলে জানা গিয়েছে একটি প্রতিবেদনে।
আরও পড়ুন- প্রায় ১০ টাকা কমল পেট্রোলের দাম! কলকাতা ও আপনার শহরে কত হল পেট্রোল, ডিজেলের দাম?
গামা পালোয়ানের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন রহিম বখশ সুলতানিওয়ালা। তৎকালীন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন রহিম বখশের উচ্চতা ছিল প্রায় সাত ফুট, গামা পালোয়ানের ছিল ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি। এই দু’জনের মধ্যে চারবার মল্লযুদ্ধ হয়েছিল, প্রথম তিনটিতে ড্র হয় এবং শেষটিতে জিতে যান গামা পালোয়ান।
ভারত সফরের সময়, প্রিন্স অফ ওয়েলস গামাকে সম্মান জানাতে একটি রুপোর গদা উপহার দিয়েছিলেন। জীবনের শেষ দিনগুলি লাহোরে কাটিয়েছিলেন গামা। ১৯৬০ সালে প্রয়াত হন তিনি।
রবিবারের গুগল ডুডলটি গামা পালোয়ানের বিশেষ কৃতিত্বকেই উদযাপন করে। এই ডুডলটি তৈরি করেছেন শিল্পী বৃন্দা জাভেরি।