বাধ্য হয়ে রিয়া বাড়ি ছাড়েন এবং রাখির বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। রাখির পরিবার শুরু থেকেই পাশে দাঁড়ায়। প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলোচনা করেই তাদের বিয়ের আয়োজন হয় স্থানীয় এক মন্দিরে। পরস্পরের গলায় মালা পরিয়ে জীবনের নতুন অধ্যায়ে পা রাখেন দুই তরুণী। সমাজের নানা বাঁধাধরা নিয়ম, ভয় আর সংকোচকে অগ্রাহ্য করে নিজের মতো করে বাঁচার সাহস দেখালেন রিয়া ও রাখি। সুন্দরবনের বুক থেকে ভালবাসার এই গল্প যেন নতুন প্রজন্মকে শেখায়—ভালবাসার কোনও লিঙ্গ নেই, কোনও সীমানা নেই। প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরেই এমন আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল।
advertisement
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেম থেকে বিয়ের পথে দুই মহিলার সম্পর্ক ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল বীরভূমের দুবরাজপুরে। খয়রাশোলের বাসিন্দা সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের টানে সুদূর মালদহ থেকে ছুটে এলেন নমিতা দাস। সাতদিন আগে দুবরাজপুরের একটি শিবমন্দিরে সিঁদুর দান করে বৈবাহিক জীবনে পা রাখলেন এই যুগল। রিয়া জানান, সম্পর্কের কথা তিনি বাড়িতে জানিয়েছিলেন। কিন্তু কেউ মেনে নেননি। তিনিও ঠিক করেন, যাঁকে ভালবাসেন, তাঁকে হারাতে দেবেন না। তাই বাড়ি ছেড়ে রাখির বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। রাখির পরিবার অবশ্য তাঁদের সম্পর্ককে মেনে নেয়। প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলোচনা করে দুই যুবতীর বিয়ের আয়োজন করে স্থানীয় এক মন্দিরে। মঙ্গলবার সাতপাকে ঘুরে, মালাবদল করে নতুন জীবন শুরু করলেন রিয়া ও রাখি।
আরও পড়ুন-উৎসবের মরশুমে দারুণ বৃদ্ধি ! ঋণের পরিমাণ ২৭ শতাংশ বাড়ল বাজাজ ফাইন্যান্সের
বিয়ের পর রাখি বলেন, ‘‘আমাদের ২ বছরের সম্পর্ক। ফোনে পরিচয় হয়েছিল। অনেকেই বলেছিল মেয়েতে মেয়েতে আবার সম্পর্ক কী ! কিন্তু আমরা ঠিক করেছি, একসঙ্গেই থাকব। সারাজীবন থাকব।বাড়িতে সকলে মেনে নিয়েছেন। আমার বাড়িতে আবার কেউই সম্পর্কটা মেনে নেয়নি। বাবা বলেছে, থাকতে দেবে না। কী আর করা যাবে… ওর বাড়িতেই থাকব।’’ আর রিয়ার কথায়, ‘‘আমরা আমাদের ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়েছি। ভালবাসাটাই তো বড় কথা। মহিলা পুরুষকে ভালবাসবে, পুরুষ মহিলাকে ভালবাসা কে বলে দিয়েছে ?’’





