হঠাৎই সড়ক দুর্ঘটনা, তাতে ক্রিকেটার সায়কের পা ভাঙে। তারপর আর মাঠে ফেরা হয়নি। টানা কয়েক মাস গৃহবন্দি হয়ে হতাশ হয়ে একপ্রকার মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিল সে। তবে আর পিছনে তাকাতে হয়নি এরপর। ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে নেমে এগিয়েছে। ২০১০ সালে দুর্ঘটনার পর সুস্থ হয়ে কাজে যোগ দেওয়া। কয়েক বছর কাটতে না কাটতে একটি মোটর কোম্পানিতে ওয়ার্কশপ ম্যানেজারের কাজে যুক্ত হওয়া।
advertisement
গোড়া থেকে বাইকের প্রতি আলাদা টান বা ভাল লাগা ছিল। বাইক নিয়েই লং ট্যুরে বেড়িয়ে পড়া। এক সময় ক্রিকেট ভালবাসা ছেলেটি এবার বাইকের প্রেমে। তারপর নিজের একটি ওয়ার্কশপ তৈরি করা। কয়েক বছরের মধ্যেই বাইকের প্রতি আলাদা প্রেম। তার নিত্য সঙ্গী হয়ে ওঠে বাইক। কয়েক বছরেই বহুবার লং ট্যুরে গিয়েছেন সায়ক।
আরও পড়ুন: র্যাট হোল মাইনিং কী…? শ্রমিক উদ্ধারে আশার আলো ‘ইঁদুরের গর্ত’! চমকে দেবে এই ‘টেকনিক’
ধীরে ধীরে বাইক রেসের প্রতি আগ্রহ বাড়ে। বাইক রেসের খুঁটিনাটি জানতে সাক্ষাৎ করেন বিখ্যাত রেসার উদয় বাবুর সঙ্গে। সায়কের দু বছরের রেসার জীবনে ৪৫০ সি সি ক্যাটাগরিতে প্রথম সফলতা আসে রেলি অফ চাম্বায় দ্বিতীয় স্থান। পরে এস যোভ রেলিং এ প্রথম স্থান এবং সদ্য সমাপ্ত রেলি অফ হিমালয়া প্রথম স্থান অর্জন করে সায়ক। এ প্রসঙ্গে রেসার সায়ক মণ্ডল জানান, ক্রিকেট ময়দান বা রেসের ট্র্যাকে নিজের ১০০ শতাংশ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। সাফল্য পেতে হলে শুধু কঠোর পরিশ্রমই যথেষ্ট নয়। নিদ্রিষ্ট নিয়ম বা সঠিক উদ্দেশ্য নিয়ে পরিশ্রম করতে হবে। সায়ক জানান, আত্মতৃপ্তি মানেই থেমে যাওয়া। তাঁর রেসার জীবনে অনেকখানি পথ চলা বাকি। তাই এখানেই শেষ নয় আরও অনেক স্বপ্ন পূরণ বাকি।
রাকেশ মাইতি