পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১৬ আগস্ট শিশুটির শরীরে উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। সে জলের প্রতি ভয় দেখাতে শুরু করে এবং জিভ বের করে হাঁপাতে থাকে। এরপরই শিশুটিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু ১৮ আগস্ট, সে মারা যায়।
advertisement
শিশুটির বাবা, মোহাম্মদ আনিস বলেন, “পরদিন তার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়, তাই আমরা তাকে কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে নিয়ে যাই, কিন্তু সে সোমবার মারা যায়।” আনিস জানান, “আমার ছেলে বাইরে খেলার সময় পায়ে আঘাত পায় এবং রক্তপাত শুরু হয়। তখন একটি ঘরছাড়া কুকুর সেই জায়গাটা চেটে দেয়। আমরা জানতাম না এটা এত ভয়ঙ্কর হতে পারে।”
এই ঘটনার পরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শিশুটির মৃত্যুর পরে প্রায় ৩০ জন গ্রামবাসী র্যাবিসের ইনজেকশন নেন। অনেকেই বিশ্বাস করেন, যদি পরিবারটি ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকত, তাহলে সময়মতো ভ্যাকসিন দেওয়া যেত এবং শিশুটিকে বাঁচানো যেত।
বদায়ুঁ জেলা হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ প্রশান্ত ত্যাগী এই ঘটনায় মন্তব্য করে বলেন, “এই ঘটনাটি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে, কুকুর কামড়ানো বা চাটাকে কখনো হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। কুকুর, বিড়াল বা বাঁদর কামড়ালে বা চাটলেও সঙ্গে সঙ্গে র্যাবিস ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত। অবহেলা করলে তার ফলাফল প্রাণঘাতী হতে পারে।”