বোর্ডিং পাসের বার কোড বা কিউআর কোডে থাকে ব্যক্তিগত তথ্য। সে সব জনসমক্ষে চলে এলে সুরক্ষার দফারফা। সাধারণ মানুষ তো বটেই, অষ্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবটও এই ভুল করেছিলেন। এখানে বোর্ডিং পাসের ছবি অনলাইনে শেয়ার করতে বারণ করার পাঁচ কারণ দেওয়া হল।
ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস: বোর্ডিং পাসে যাত্রীর পুরো নাম, ফ্লাইট নম্বর এবং বুকিং রেফারেন্স বা পিএনআর নম্বর-সহ বহু ব্যক্তিগত তথ্য থাকে। সঙ্গে থাকে আলফানিউমেরিক কোড যা বুকিংয়ের ইউনিক নম্বর এবং একটি বারকোড বা কিউআর কোড। এতে থাকে এনক্রিপ্ট করা ডেটা। একনজরে এসব খুব সাধারণ তথ্য। কিন্তু সাইবার অপরাধীদের কাছে সোনার খনি।
advertisement
নিরাপত্তার ঝুঁকি এবং পরিচয় চুরি: ফ্লাইট বুকিং করার সময় যাত্রী যে তথ্য দিয়েছিলেন বারকোড বা কিউআর কোড স্ক্যান করে সে সব হাতিয়ে নিতে পারে হ্যাকাররা। এই তথ্য ডিকোড করলে ভ্রমণ পরিকল্পনা, ব্যক্তিগত সনাক্তকরণ এবং কিছু ক্ষেত্রে পাসপোর্ট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিশদ বিবরণও প্রকাশ হয়ে যেতে পারে। আর সেটা হলে যাত্রীর পরিচয় ভাঁড়িয়ে অসৎ কাজে লাগাতে পারে সাইবার অপরাধীরা। এমনকী ব্যক্তিগত তথ্য ডার্ক ওয়েবে বিক্রিও করে দিতে পারে।
আরও পড়ুন: লাখ-লাখ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর জন্য বিরাট খবর, তৈরি হল গাইডলাইন! বদলে গেল নিয়ম
ফ্লাইয়ার নম্বর ফাঁস: অনেক বোর্ডিং পাসেই যাত্রীর ফ্লাইয়ার নম্বর থাকে। এটা হাতিয়ে নিতে পারলে লয়্যালটি প্রোগ্রাম অ্যাকাউন্ট অ্যাক্সেস করা বাঁ হাতের কাজ। হ্যাকার আরামসে কেনাকাটাও করতে পারে। আর এই নম্বর একবার বেহাত হলে ফেরত পাওয়া অসাধ্য।
আরও পড়ুন: ইডির ডাকের কারণে যেতে পারেননি, ‘নিজের’ জায়গায় পা রেখেই প্রবল হুঁশিয়ারি অভিষেকের
অবস্থান এবং ভ্রমণের সময়সূচি ফাঁস: ফ্লাইট বদলাতে চাইলে পিএনআর বা বুকিং রেফারেন্স নম্বর চাই। সেটা যদি প্রকাশ্যে চলে আসে তাহলে যে কেউ ফ্লাইটের সময়সূচি বদলে দিতে পারে। শুধু তাই নয়, বোর্ডিং পাসে ফ্লাইটের বিবরণ থাকে। তাই ব্যক্তিগত সুরক্ষার সঙ্গেও আপোস করা হয়।
বড় ফাঁদ: বোর্ডিং পাসের তথ্য নিয়ে এয়ারলাইন স্টাফ বা কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি সেজে প্রতারকরা যাত্রীর অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্যও হাতিয়ে নিতে পারে। যাত্রী বুঝতেও পারবেন না কোথা থেকে তাঁর সর্বনাশ হল।