কী ভাবে, সেই কথায় আসার আগে অপটিক্যাল ইলিউশনের ছবিটা নিয়ে কিছু কথা বলে নেওয়া দরকার। এখানে একে অপরের সঙ্গে লেগে থাকা কয়েকটি গাছ আর তাদের ডালপালা দেখতে পাব আমরা। সেগুলো পরস্পরের সঙ্গে এমন ভাবে মিশে রয়েছে, যাতে তৈরি হয়েছে ৯টি মুখাবয়ব। এই ৯টি চেহারার সবক'টাকে খুঁজে বের করাই হল চ্যালেঞ্জ, যা আমাদের সামনে ছুড়ে দিয়েছে ছবিটা।
advertisement
এখন যে দু'টো মুখ সবচেয়ে বড়, সেগুলো চোখে পড়তে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু বাকি ৭টা মুখ? মাত্র ১১ সেকেন্ডের মধ্যে সবগুলো খুঁজে বের করা যাচ্ছে কি?
আরও পড়ুন : উচ্চতায় টেক্কা আইফেল টাওয়ারকেও! ভূস্বর্গে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হতে চলেছে চেনাব রেলসেতু
আরও পড়ুন : 'কেষ্ট গেছে খাঁচার ভিতর', অনুব্রতকে নিয়ে 'চড়াম চড়াম গান' বাঁধল রাহুল- নীলাব্জ
ব্যাপারটা সহজ করে দেওয়ার জন্য মুখগুলো কোথায় কোথায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে, তা এবার বলে দেওয়া যাক। ছবির একেবারে কেন্দ্রে রয়েছে ৩টি মুখ। ২টি মুখ আছে ছবির বাম দিকে। আর বাকি ৪টি মুখ রয়েছে ছবির ডান দিকে। খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে এবার?
অপটিক্যাল ইলিউশনের দুনিয়া মনোবিজ্ঞানে ভর দিয়ে বলছে, যদি ৫ বা ৭টি মুখও কেউ খুঁজে বের করতে পারেন, সবগুলো না-ই বা হল, তাহলেও সেই ব্যক্তির পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার তারিফ করতে হবে। সবগুলো খুঁজে পেলে তো কথাই নেই, তাঁকে জায়গা দিতে হবে সেরার দলে। কেন না, বলা হচ্ছে যে গড়ে মাত্র ১% সবগুলো মুখ খুঁজে বের করতে পারেন ১১ সেকেন্ডের মধ্যে।
আর নিজের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা এভাবে যাচিয়ে নেওয়ার মধ্যে দিয়েই তৈরি হবে ভবিষ্যতের পথ। যাঁরা সবগুলো বা অনেকগুলো মুখ খুঁজে পাচ্ছেন, তাঁরা আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে পারলে সোনালি দিনও খুঁজে পাবেন। আর যাঁরা পাচ্ছেন না, তাঁদেরও মুষড়ে পড়ার কিছু নেই। আগামী দিনে চোখ-কান খোলা রেখে, সজাগ হয়ে, বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করে উঠতে পারলে সাফল্য সুনিশ্চিত হবেই!