বলে রাখা ভাল যে, Papahānaumokuākea Marine National Monument (PMNM)-কে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম সামুদ্রিক সংরক্ষণ এলাকা বলে গণ্য করা হয়। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমস্ত সামুদ্রিক সংরক্ষণ এলাকার তুলনায় বড়। এর মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশই পরীক্ষা করে দেখতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। ওশান এক্সপ্লোরেশন ট্রাস্টের গবেষকরা জঙ্গলের সীমা খতিয়ে দেখতে ব্যস্ত ছিল। যা সমুদ্রপৃষ্ঠের ৩০০০ মিটারেরও বেশি গভীরে অবস্থিত। আর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই এক্সপ্লোরেশন যে কেউ চাক্ষুষ করতে পারবেন। ইউটিউবে এই আবিষ্কারের ভিডিও ভাগ করে নেওয়া হয়েছিল ২০২২ সালে। এই ভিডিও-য় একটি হাইলাইট রিলে এমন এক মুহূর্ত তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, গবেষকদের গভীর সমুদ্র-যান সেই রাস্তায় পৌঁছেছে।
advertisement
ভিডিও-য় রেডিও থেকে আসা বিজ্ঞানীদের গলা স্পষ্ট ভাবে শোনা গিয়েছে। রেডিও-য় এক গবেষক বলেন, এটাই আটলান্টিসে যাওয়ার রাস্তা। অন্য দিক থেকে জবাব আসে যে, হলুদ ইটের রাস্তা? দলের অন্যান্য সদস্যরা বলেন, এটা আশ্চর্য। আপনারা জেনে আশ্চর্য হবেন যে, সমুদ্রের তলায় হাজার মিটার নীচে অবস্থিত হওয়া সত্ত্বেও গবেষকদের দ্বারা আবিষ্কৃত হ্রদটির তলদেশ ভীষণই শুষ্ক। ওই রেডিওটিতে গবেষক দলটি আরও জানায় যে, এর মেঝেটি অনেকটা বেকড লেয়ারের মতো দেখতে। মনে হবে যেন খোসা ছাড়ানো যাবে। কিছুক্ষণ পরে তাঁরা পাথর ভেঙেও দেখান।
আপাতত পাথুরে পৃষ্ঠে পাওয়া ফেরোম্যাঙ্গানিজ ভূত্বকের মধ্যে বসবাসকারী জীবাণুগুলি নিয়ে গবেষণা করছেন। আর এই গবেষণায় উঠে আসবে সেখানকার জীবজগৎ সম্পর্কিত তথ্য। এর থেকে সংরক্ষণ সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা বোঝা যাবে।
