NDTV–এর প্রতিবেদনে জানা যায়, মৃত চালকের নাম সতীশ রাও। বাসটি ইন্দোর থেকে যোধপুর যাচ্ছিল। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি সহ-চালকের হাতে বাসের নিয়ন্ত্রণ তুলে দেন এবং ভেবেছিলেন কিছুটা বিশ্রাম নেবেন, কিন্তু তাঁর অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে এবং অচেতন হয়ে পড়েন। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে গ্রামবাসীদের হামলা! রাতে সার্ভেতে গিয়ে বেদম মার গুগলের বিশেষ টিমকে…
advertisement
এশিয়ানেট নিউজের রিপোর্ট অনুযায়ী, সতীশ রাওয়ের বয়স ছিল ৩৬ বছর। তিনি যোধপুর জেলার ভোজাসর গ্রামের বাসিন্দা।
অসুস্থ হওয়ার পর তাঁরা প্রথমে একটি নিকটবর্তী ফার্মেসিতে চিকিৎসা খুঁজতে যান, কিন্তু সেটি বন্ধ থাকায় সাহায্য মেলেনি। বাধ্য হয়ে হেল্পার নিকটতম হাসপাতালে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, রাও হেল্পারের পাশে পদ্মাসনে বসা অবস্থায় ছিলেন। হঠাৎ অচেতন হয়ে তিনি হেল্পারের উপর হেলে পড়েন। কাছাকাছি বসা এক মহিলা যাত্রী প্রথমে হতবাক হয়ে যান। পরে অন্যান্য যাত্রীরা এগিয়ে এসে রাওকে সরিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা তাঁকে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গেই মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ২ পাতার জেরক্সের জন্য খরচ ৪০০০ টাকা! ফের পঞ্চায়েতের দুর্নীতি প্রকাশ্যে…
চিকিৎসকদের মতে, চালকের মৃত্যু হয়েছে একটি “সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক”-এ। এই ধরনের হার্ট অ্যাটাকে সাধারণত কোনো বড় উপসর্গ থাকে না, কিন্তু তা প্রাণঘাতী হতে পারে।
এই ঘটনায় মৃত চালকের পরিবার সরকারি তদন্ত বা ময়নাতদন্ত করতে অস্বীকার করেছে।
এদিকে, রাজস্থানের চিত্তৌরগড়ে আরেক দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এবং এক শিশু নিখোঁজ। একটি ভ্যান তীব্র স্রোতে ভেসে যায়। জানা গিয়েছে, গুগল ম্যাপস-এর নির্দেশে গাড়িটি একটি বন্ধ ব্রিজে উঠে পড়েছিল। মঙ্গলবার ভিলওয়ারা থেকে ধর্মীয় যাত্রা সেরে ফিরছিল পরিবারটি, তখনই বানাস নদীর কালভার্ট পার হতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
