শুধু তাই নয়, আমরা অনেকেই হয় তো লক্ষ্য করেছি যে গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলেই এইসব কীট-পতঙ্গ বা সরীসৃপ প্রাণীরা বেশি সক্রিয়। কিন্তু পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ রয়েছে যেখানে সারা বছর একটি সাপ বা টিকটিকিরও দেখা মেলে না। এমনকী, অন্যান্য পোকামাকড়ের সংখ্যাও সেখানে খুব কম।
আরও পড়ুন- কুকুর নয়, বরং এই ছবিতে লুকিয়ে রয়েছে বিড়াল! আজব ধাঁধার সমাধান জানেন?
advertisement
আজ আমরা এমনই কিছু দেশের কথা জানব যেখানে পারতপক্ষেও কোনও পোকামাকড়, টিকটিকি বা সাপের দেখা পাওয়া যায় না। অস্ট্রেলিয়ার মতো কিছু দেশ রয়েছে যেখানে বাড়ির ভিতরে হরদমই অনেক রকমের বিষাক্ত সাপেদের আস্তানা খুঁজে পাওয়া যায়, সেখানে আবার দুনিয়ায় এমনও কিছু দেশ রয়েছে যেখানে একেবারেই সাপেদের দেখা পাওয়া যায় না।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, সাপেদের অস্তিত্ব ডাইনোসরের সময় থেকেই বহাল তবিয়তে জারি রয়েছে, তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ডাইনোসরের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হলেও সাপেদের বিনাশ হয়নি, বরং বলা ভালো তারা সংখ্যায় আরও বেড়েছে।
সাধারণত খুব ঠান্ডা জায়গায় সাপ থাকতে পারে না। এই কারণে বিষুব রেখার উত্তর ও দক্ষিণে আর্কটিক সার্কেল এবং অ্যান্টার্কটিকায় সাপেদের দেখা মেলে না। এসব এলাকার আবহাওয়া ত্যন্ত ঠান্ডা থাকায় জল জমে বরফে পরিণত হয়।
সাপ এত ঠান্ডা সহ্য করতে পারে না। এ কারণে এসব অঞ্চলে এই বিষাক্ত প্রাণীর দেখা পাওয়া যায় না। শুধু অ্যান্টার্কটিকা বা আর্কটিক সার্কেল নয়, আয়ারল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডেও সাধারণত সাপের দেখা মেলে না। একই বিষয় টিকটিকির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ঠান্ডা জায়গায় সাধারণত সাপ ও টিকটিকি দেখা যায় না।
সাপ সম্পর্কে আকর্ষণীয় কিছু তথ্য
এক মিলিয়নেরও বেশি সময় ধরে এই পৃথিবীতে সাপেরা নিজেদের অস্ত্বিত্ব বজায় রেখেছে। কিন্তু এদের সম্পর্কে এমন অনেক তথ্য রয়েছে, যা অনেকেই জানেন না। যেমন, সাপ তাদের শিকারকে চিবিয়ে খায় না, একেবারে সরাসরি গিলে খায়।
আরও পড়ুন- অর্ডার ছিল স্মার্টফোনের, কিন্তু বাড়িতে যা এল! চক্ষু চড়কগাছ সকলের
এ ছাড়া সাপ বছরে তিনবার চামড়া পাল্টায়। ইয়েমেন, কুয়েত এবং সৌদি আরবের মতো কিছু দেশ রয়েছে যেখানে দুই শিংওয়ালা সাপের দেখা মেলে। আবার আফ্রিকাতে এমন বিশাল প্রজাতির সাপ পাওয়া যায় যা সহজেই একটি বাছুরকে গিলে খেয়ে ফেলতে পারে।