পূর্ব চম্পারন জেলার পাহাড়পুর থানার সাব ইন্সপেক্টর ছিলেন প্রিয়াঙ্কা গুপ্তা। অন ডিউটি রিলস বানানোর অভিযোগে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই খবর জানিয়েছেন এসপি স্বর্ণ প্রভাত।
আরও পড়ুন– দিল্লিবাসীকে বড় উপহার, এই কাজে আর লাগবে না পুলিশের অনুমতি, ঘোষণা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
বিগত কয়েকদিন ধরেই প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করছিলেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, কাজের সময় সব ছেড়েছুড়ে রিলস বানাতে লেগে যেতেন প্রিয়াঙ্কা। সে সব ভিডিও পোস্টও করতেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। হিন্দি সিনেমার গানে প্রিয়াঙ্কার কয়েকটি রিলস রীতিমতো ভাইরালও হয়েছে।
advertisement
একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ইউনিফর্ম পরে গাড়িতে বসে রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। চোখে গগলস। টুপি পাশে রাখা। অন্য একটি রিলসে আবার বলতে শোনা যাচ্ছে, “জীবনে সবার সঙ্গেই বন্ধুত্ব রাখো, কিন্তু কারও কাছ থেকেই কিছু আশা কোরো না।”
শুধু গাড়িতে নয়, ব্যাঙ্ক পরিদর্শনে গিয়ে সেখানেও রিলস বানিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। ব্যাকগ্রাউন্ডে হিন্দি সিনেমার গান আর সামনে তিনি। এই ভিডিও ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে বিহার পুলিশ। প্রিয়াঙ্কাকে সাসপেন্ড করা হয়।
পূর্ব চম্পারনের এসপি স্বর্ণ প্রভাত বলেছেন, “ইন্সপেকশন চলাকালীন রিলস বানানোর অভিযোগ উঠেছে প্রিয়াঙ্কা গুপ্তার বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তিনি থানার ভিতর, সরকারি গাড়িতে ভ্রমণের সময় এবং ব্যাঙ্কে ইন্সপেকশন চলাকালীন রিলস বানিয়েছিলেন। এর ফলে শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ক্ষুন্ন হয়েছে পুলিশের ভাবমূর্তি।”
এই নিয়ে তদন্তের পরই সাসপেন্ড করা হয় প্রিয়াঙ্কাকে। এসপি আরও জানিয়েছেন, বিহার পুলিশের কর্মীদের ডিউটি চলাকালীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশ অমান্য করলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
বিহার পুলিশের সদর দফতর থেকেও ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় রিলস বানাতে বারণ করে দেওয়া হয়েছে পুলিশ কর্মীদের। ডিউটি চলাকালীন মোবাইল ব্যবহারের উপরেও বিধিনিষেধ রয়েছে। পুলিশের মহাপরিচালক বিনয় কুমার স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, ডিউটি চলাকালীন ইউনিফর্ম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রিলস বানানো চলবে না। নির্দেশ অমান্য করলে শাস্তি দেওয়া হবে।
জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রিয়াঙ্কার ভালই জনপ্রিয়তা ছিল। নিয়মিত রিলস ভিডিও আপলোড করতেন তিনি। প্রায় প্রত্যেক ভিডিওতেই হাজারের উপর ভিউ হত। কিন্তু এই রিলসের ‘নেশা’ই যে একদিন কাল হয়ে দাঁড়াবে কে জানত!