ওই ব্যক্তির মধ্যে সৃজনশীলতা এবং সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেটাকেই পুঁজি করে এই উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। যা ব্যাপক ভাবে অনলাইনে প্রশংসিত হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, এটি ব্যবহারকারীদের মধ্যেও কৌতূহলের উদ্রেক করেছে এবং এমনকী মহাকাশ গবেষণায় এর সম্ভাব্য ব্যবহার সম্পর্কে মজাদার জল্পনাও তৈরি হয়েছে।
মশা নিধনের নতুন কৌশল:
advertisement
মশার উপদ্রবের জেরে নানা রোগ ছড়িয়ে পড়ে মানবদেহে। এমনকী এর জেরে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। যদিও মশা তাড়ানোর জন্য বিভিন্ন স্প্রে, কয়েল এবং ইলেকট্রনিক ডিভাইসের উপর নির্ভর করে মানুষ। তবে সেগুলি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। একটি ভাইরাল ভিডিও-য় ঘরে তৈরি ডিভাইসটি দেখা গিয়েছে। যা শূন্যে ওড়ার সময়েই মশাদের নিশানা করে নিধন করতে সক্ষম। ঠিক যেভাবে আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উড়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করে দেয়।
আরও পড়ুন: ক্লাস ১১-এর ছাত্রকে লাগাতার যৌন নির্যাতন, কাজে লাগালেন ওষুধও! গ্রেফতার নামী স্কুলের শিক্ষিকা
এই ডিভাইসটি কীভাবে কাজ করবে?
ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে, ডিভাইসটি থেকে একটি স্বল্পস্থায়ী নীল রঙের লেজারের মতো রশ্মি নির্গত হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে যা মশাদের নিধন করে দিচ্ছে। মুহূর্তের মধ্যে রশ্মিটি বেরোয়। নিজের লক্ষ্যবস্তুকে আটক করে ফেলে এবং মশাটির নিধন হলেই তা নিভে যাবে। ভিডিও-র ক্যাপশনে মজা করে দাবি করা হয়েছে যে, উনি নিজের বাড়িতেই একটি S-400 স্টাইল অ্যান্টি মসক্যুইটো সিস্টেম তৈরি করে ফেলেছেন। সেই সঙ্গে এ-ও জানানো হয়েছে যে, সঙ্গে সঙ্গে ইসরো তাঁকে চাকরির অফার দিয়েছে।
মশা মারার মিসাইল
মশা থেকে মিসাইল:
ইনস্টাগ্রাম পেজ @tatvavaani থেকে ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে। একটি ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্যে বলা হয়েছে যে, যদি তিনি শূন্যে ওড়াকালীন মশাদের নিশানা করতে পারেন, তাহলে তো উনি অবশ্যই স্যাটেলাইটকে সামলাতে পারবেন। মনে হচ্ছে, এই কথাটি বলেছেন ইসরো-র প্রধান।
ভিডিও-র ভিউ:
মাত্র ২ দিনের মধ্যেই এই ভিডিও-য় ১৯ লক্ষ ভিউ পার করে গিয়েছে। এই ডিভাইসের প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা এবং সেই ডিভাইস নিজেদের বাড়িতে ইনস্টল করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন তাঁরা। এক ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেছেন যে, একটা মশা মারার শটের জন্য কত খরচ পড়বে? অন্য একজন আবার পরামর্শ দিয়েছেন যে, এই প্রযুক্তি ডিআরডিও-কে সুবিধা প্রদান করবে।
ইসরোর সহায়তা:
ইসরো ওই ব্যক্তিকে চাকরির প্রস্তাব দিয়েছে বলে দাবির সত্যতা এখনও যাচাই করা হয়নি। তবে এটা সত্য যে, ভারতের মহাকাশ সংস্থা সক্রিয় ভাবে বেসরকারি উদ্ভাবন এবং অনন্য ধারণাগুলিকে উৎসাহিত করে। মশা-নিধনকারী এই লেজারটি মহাকাশে ব্যবহার করা হবে কি না, তা এখনও দেখার বিষয়। তবে এটি অবশ্যই চর্চা এবং প্রশংসার জন্ম দিয়েছে।