Chitpur Couple Murder Case: আরজি করে যাবজ্জীবন, চিৎপুরে ফাঁসি! সেই একই বিচারক, কেন চিৎপুর কাণ্ডে ফাঁসির সাজা, যুক্তি জানালেন বিচারক অনির্বাণ দাস

Last Updated:

Chitpur Couple Murder Case: দশ বছর পর সেই ঘটনায় বুধবার ফাঁসির সাজা শোনাল শিয়ালদহ আদালতে। জোড়া খুনে দোষী পরিবারের অত্যন্ত বিশ্বস্ত সঞ্জয় সেন নামে যুবক। কেন ফাঁসির আবেদন সরকারি আইনজীবীর তরফে করা হল?

দোষী সঞ্জয় সেনকে ফাঁসি শোনাল আদালত
দোষী সঞ্জয় সেনকে ফাঁসি শোনাল আদালত
কলকাতা: দশ বছর আগের ঘটনা। চিৎপুরের এক বৃদ্ধ দম্পতিকে হত্যার অভিযোগ ওঠে এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত সঞ্জয়কে নিজেদের সন্তানের মতো দেখতেন প্রাণগোবিন্দ দাস এবং তাঁর স্ত্রী রেণুকা দাস। উভয়েরই বয়স সত্তরের কোঠায়। বৃদ্ধ দম্পতির কন্যা আমেরিকা নিবাসী। চিৎপুরের একটি আবাসনের ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। তাঁদের দেখাশোনার জন্য পূর্ণিমা নামে এক তরুণী থাকতেন। পূর্ণিমার সঙ্গে সঞ্জয়ের বিয়েও দিয়েছিলেন দম্পতি। সেই সঞ্জয়ই দম্পতিকে খুনে গ্রেফতার হয়।
দশ বছর পর সেই ঘটনায় বুধবার ফাঁসির সাজা শোনাল শিয়ালদহ আদালতে। কেন ফাঁসির আবেদন সরকারি আইনজীবীর তরফে করা হল? আদালতে সওয়াল করার সময় ওঠে এসেছে ইন্দিরা গান্ধিকে হত্যার বিষয়। উঠে এসেছে ধনঞ্জয়ের প্রসঙ্গও।
আরও পড়ুন: ক্লাস ১১-এর ছাত্রকে লাগাতার যৌন নির্যাতন, কাজে লাগালেন ওষুধও! গ্রেফতার নামী স্কুলের শিক্ষিকা
কলকাতা পুলিশ ও সরকারি আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘ইন্দিরা গান্ধিকে খুন করেছিলেন তাঁরই বিশ্বস্ত নিরাপত্তারক্ষী। ধনঞ্জয়কে বিশ্বাস করে নিরাপত্তারক্ষী ও লিফট দেখভালে রাখা হয়েছিল। তাঁদের বিশ্বাসভঙ্গ করেছিলেন। এখানেও দম্পতির অত‍্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য ও আস্থাভাজন শীল ছিলেন সঞ্জয় সেন। দিনভর ওই দম্পতির কাছে থাকা, সমস্ত কাজ করে দেওয়া– সবটাই করতেন।
advertisement
advertisement
দম্পতির ফ্ল্যাটের ভিতরে কোথায় কী থাকে সব জানতেন। বিশ্বস্ত লোক হয়ে নৃশংস ভাবে খুন করেছেন, তাতে সমাজে বিশ্বাস বিষয়টি ধাক্কা খাচ্ছে। তাই সমাজে বিশ্বাস ও আস্থা এই বিষয়টি বাঁচিয়ে রাখতে গেলে এই অপরাধীর সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হোক- আদালতে এই আবেদন করেছিল সরকারি আইনজীবী
আরও পড়ুন: একটি জলের ট্যাঙ্কে চারটি মৃতদেহ; সুইসাইড নোট নেই! নেই শত্রুতার ঘটনা, নিশ্চিহ্ন পুরো পরিবার, কেন?
বিশ্বস্ত হয়েও যে ভাবে মুখে ও মাথায় আঘাতের পর আঘাত করে খুন করা হয়েছে, তা নৃশংস। বিরল থেকে বিরলতম ঘটনা। তাই ফাঁসির সাজা শোনাল আদালত। আরজি করে ধর্ষণ এবং হত্যা মামলা ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ বলে বিবেচনা করেননি শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস। আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছিলেন অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে।
advertisement
এ বার সেই বিচারকই এক দম্পতিকে খুনের মামলায় অভিযুক্তকে ফাঁসির সাজা দিলেন। দম্পতিকে হত্যার অপরাধকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ বলে মনে করছেন তিনি। ঘটনাচক্রে, এ ক্ষেত্রেও অভিযুক্তের নাম সঞ্জয়। তবে পদবি ভিন্ন। দম্পতিকে হত্যার মামলায় সঞ্জয় সেন ওরফে বাপ্পার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করল সেই একই বিচারকের এজলাস।
অমিত সরকার
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Chitpur Couple Murder Case: আরজি করে যাবজ্জীবন, চিৎপুরে ফাঁসি! সেই একই বিচারক, কেন চিৎপুর কাণ্ডে ফাঁসির সাজা, যুক্তি জানালেন বিচারক অনির্বাণ দাস
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement