কিন্তু এই সুখ সাময়িক। সাংসারিক ঘাত-প্রতিঘাতে একসময় তা ম্লান হয়ে যায়। প্রচুর টাকাপয়সা, বিলাসব্যাসনে কাটানো জীবনও একটা পর্যায়ে হাঁপিয়ে ওঠে। কিসের টানে সিদ্ধার্থ রাজসুখ ছেড়ে বেড়িয়ে পড়েছিলেন? হয়ে উঠেছিলেন গৌতম বুদ্ধ? এও এক জার্নি।
advertisement
গোয়ালয়রের যুবতী তানিয়া মিত্তলের কথাই ধরা যাক। অর্থ, খ্যাতি কোনও কিছুরই অভাব নেই। কিন্তু সুখ? না। সেই সুখের খোঁজেই সন্ত প্রেমানন্দ মহারাজের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। সেই ভিডিওই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
তানিয়ার পরনে লাল-কালো শাড়ি। রয়েছেন ম্থুরার বৃন্দাবনে। যাচ্ছেন প্রেমানন্দ মহারাজের আশ্রমে। আগের দিন প্রায় মাঝরাতে একটি ভিডিও শ্যুট করেছেন। প্রেমানন্দ মহারাজজির সঙ্গে তাঁর দেখা হবে, তাঁকে জীবনের সমস্যার কথা বলবেন, পরামর্শ চাইবেন, এই নিয়ে রীতিমতো উত্তেজিত তিনি। ভিডিওতে তানিয়া বলছেন, “এখন রাত ২.৪৩। আমার ঘুম আসছে না। তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য উন্মুখ হয়ে রয়েছি। এটা আমার জীবনের বিশেষ দিন।”
সব অপেক্ষারই অবসান হয়। পরদিন প্রেমানন্দ মহারাজের আশ্রমে পৌঁছন তানিয়া। সেখানে মহারাজের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তিনি। তানিয়া প্রেমানন্দ মহারাজকে বলেন, “জীবনে আমি সব পেয়েছি। প্রচুর অর্থ, খ্যাতি সব আছে। কিন্তু আনন্দ নেই।”
তানিয়ার কথা মন দিয়ে শোনেন প্রেমানন্দ মহারাজ। তারপর ধীরে ধীরে বলেন, “আমি সুখ চাই, আনন্দ চাই, খ্যাতি চাই। কিন্তু সেই সুখ জগতের কোনও পার্থিব বস্তুতে নেই, কোনও ব্যক্তিতে নেই, বিলাসব্যাসনে নেই।” কিছুক্ষণ থেমে যোগ করেন, “আমাদের মন কিছুদিন পরপর পুরনো জিনিস বা পুরনো সুখ ভুলে নতুন সুখের সন্ধানে বেড়িয়ে পড়ে। যতক্ষণ না সে পরমকে পায়, থামে না। পরম সুখ তাই পরমেশ্বরের স্বভাব আর নামেই রয়েছে।”
প্রেমানন্দ মহারাজের সঙ্গে দেখা করার দুটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন তানিয়া। একটিতে তিনি মথুরার নামী হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে মহারাজের সঙ্গে কথা বলছেন। অন্যটিতে মহারাজের আশ্রমে রয়েছেন তিনি। বলছেন, নিজের সমস্যার কথা। দুটি ভিডিওতেই এখনও পর্যন্ত মিলিয়নের বেশি ভিউ হয়েছে।