কালীপুজোকে কেন্দ্র করেই প্রথম এই মিষ্টি তৈরি হয় বুদবুদ থানার মানকর গ্রামে। মা কালীর হাতে কদমা না দিলে নাকি মায়ের পুজো অসম্পূর্ণ থেকে যায়। বাংলার নানা প্রান্তে প্রসিদ্ধ কালী প্রতিমাদের হাতে বিশালাকৃতির কদমা দেখা যায়। যেমন বোল্লাকালী, ইন্দ্রগাছার বামাকালী, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জলঘরের ত্রিকুল কালীর হাতে কদমা দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কাটতে পারেন না বলে আনারসই কেনেন না? ‘এই’ সহজ কৌশল মানুন, গোটা আনারস কাটতে পারবেন মাত্র ২ মিনিটে
মানকর গ্রামেও মহা ধুমধামে কালীপুজোর আয়োজন হয়ে আসছে বছরের পর বছর ধরে। প্রায় ১৫০ বছর আগে এখানে মা কালীর পুজোর ভোগ একটি সারমেয় খেয়ে ফেলায় খুব অল্প সময়ে চিনির রস ও ছানার জল দিয়ে প্রথম এই মিষ্টি তৈরি করেছিলেন গ্রামের এক ময়রা। কদম ফুলের মতো দেখতে হওয়ায় এর নামকরণ করা হয় কদমা। সেই থেকেই এই কদমার চাহিদা দিন দিন বাড়তেই থাকে।মানকরের কদমা মানুষ এক কথায় চেনে। অথচ এত বছরেও এই মিষ্টি জিআই তকমা পাওয়া থেকে বঞ্চিত ছিল।
তবে রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বহুদিন ধরেই এই দুই মিষ্টির স্বীকৃতি আদায়ের দাবিতে লড়াই করে চলেছেন। অবশেষে এই প্রক্রিয়ায় প্রাথমিক থাপ অতিক্রম করেছে কদমা। সব কিছু ঠিক থাকলে কয়েক মাসের মধ্যেই বিখ্যাত এই কদমা জিআই তকমা পেয়ে যাবে বলে জানা যায় আধিকারিকদের সূত্রে। স্বপনবাবু জানান,মানকরের বিখ্যাত এই কদমা যাতে জিআই স্বীকৃতি পায় তার জন্য আবেদন জানিয়েছিলাম। অবশেষে প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। আশা করা য়ায় খুব শিঘ্রই জিআই তকমা পাবে এই মিষ্টি।
মানকরের মিষ্টি বিক্রেতা হারাধন কর জানান, শুধু কালীপুজো নয়, সারা বছরই এই মিষ্টির চাহিদা থাকে। বিভিন্ন আকার ও আকৃতির তৈরি করা হয় এই কদমা। এবার কালীপুজোয় সর্বোচ্চ ১৮ কেজি ওজনের কদমা তৈরি করেছিলেন। কালীপুজোর সময় চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। এই সময় অর্ডার করে অনেকে বড় আকৃতির কদমা কিনে নিয়ে যান। জেলার বাইরে থেকেও বহু ক্রেতা আসেন। ভাইফোঁটার দিনও বহু কদমা বিক্রি হয়। এই কদমা মানকর বাসীর গর্ব।জিআই তকমা পেলে আরও বাড়বে কদমার কদর।






