এমনটা মনে করা হয় যে, বনবাসের সময় ভগবান শ্রী রাম, মাতা জানকী এবং ভাই লক্ষ্মণকে নিয়ে চিত্রকূটে এসেছিলেন। এখানে ১০৮টি গঙ্গার মতো পবিত্র ধারা এবং ৫২ জন দেবীও তাঁকে রক্ষা করতে চিত্রকূটে আসেন। চিত্রকূটে সাড়ে এগারো বছর নির্বাসন কাটিয়ে তিনি দণ্ডক বনের দিকে চলে যান, কিন্তু শ্রী রাম তাঁর সঙ্গে আসা ১০৮টি গঙ্গার মতো পবিত্র ধারা এবং ৫২ জন দেবীকে চিত্রকূটেই বিরাজ করতে বলে চলে যান। এই কারণেই কমদগিরি পাহাড় সবসময় সবুজ থাকে। লোকবিশ্বাস মতে ভগবান রাম স্বয়ং এই পর্বতকে বর দিয়েছিলেন চিরসবুজ হওয়ার।
advertisement
আরও পড়ুন: জেলে অনুব্রত মণ্ডল, সেই ‘কেষ্ট’কে ঘিরেই বোলপুরে বিরাট কাণ্ড! কীসের ইঙ্গিত?
চিত্রকূট হনুমান মন্দিরের পুরোহিত অমিত তিওয়ারি জানিয়েছেন যে, কমদগিরি পর্বত একটি স্থাবর তীর্থ। ভগবান রাম যখন বনবাসে যান, তখন তিনি চিত্রকূটে বাস করেন এবং সাড়ে এগারো বছর সাধুদের সঙ্গে এই পর্বতের পূজা করেন। মাতা জানকীকে রক্ষা করার জন্য তাঁর সঙ্গে অযোধ্যা থেকে ৫২ জন দেবী ও ১০৮টি গঙ্গার মতো পবিত্র ধারা তাঁদের সঙ্গে এখানে আসেন।
আরও পড়ুন: চাকরি নিয়ে বিরাট ঘোষণা করলেন মমতা! ৩ ফেব্রুয়ারি নিয়েও বড় ডাক, কোন কোন পদে চাকরি?
এখান থেকে যখন বাস সমাপ্ত করে শ্রী রাম চলে যান, তখন শ্রী রাম ও মাতা জানকী সাধুদের সঙ্গে কালযাপনের আশীর্বাদস্বরূপ তাঁদের সঙ্গে যা কিছু শক্তি ছিল তা এই পর্বতকে দান করে যান। তারপর থেকে সেই ১০৮টি গঙ্গার মতো পবিত্র ধারা এবং ৫২ জন দেবী এই পর্বতে বিদ্যমান থাকেন। এই পর্বতে দেবীশক্তির অনুভূতি আজও অনুভব করা যায়। এমনটিও বিশ্বাস করা হয় যে চিত্রকূটে যিনি তপস্যা করেন তাঁর কোনও মনোকামনা কখনও বৃথা যায় না।