পরিবেশবিদরা অবশ্য চিড়িয়াখানা কর্ত্ৃপক্ষের এই পদক্ষেপের ঘোর বিরোধী । বরং তাঁদের পরামর্শ, নিলামে না তুলে সিংহগুলিকে বরং পাঠানো হোক অন্য চিড়িয়াখানায়। তাদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য সিংহিদের কন্ট্রাসেপ্টিভ দেওয়া যেতে পারে । পরিবেশবিদ উজমা খানের বক্তব্য, ‘‘একবার কোনও চিড়িয়াখানার তরফে বন্যপ্রাণীদের গায়ে প্রাইস ট্যাগ লাগিয়ে দিলে কেনাবেচাই মুখ্য হয়ে ওঠে। এটা কিন্তু বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের পরিপন্থী।’’
advertisement
বাঘ, সিংহ বা অন্য বন্যপ্রাণ ব্যক্তিগত সংগ্রহে রাখার রীতি পাকিস্তানে প্রচলিত। কার্যত এই রীতি সে দেশে স্টেটাস সিম্বল বা বিত্তবান হওয়ার মাপকাঠি। বিত্তশালীরা বন্যপ্রাণকে সঙ্গে নিয়ে দিব্যি ছবিও পোস্ট করেন সামাজিক মাধ্যমে ।
আরও পড়ুন : বাঘকে খাওয়াতে গাড়ির জানলা খুললেন ব্যক্তি, এগিয়ে এল বাঘ, তার পরের ঘটনা চমকে দেবে, দেখুন ভাইরাল ভিডিও
লাহৌর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ প্রতি সিংহের জন্য বেসিক মূল্য নির্ধারণ করেছেন ৭০০ ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় দেড় লক্ষ টাকা । আশা করা যাচ্ছে ১২ টি সিংহ বিক্রি করে পাওয়া যাবে প্রায় ২ মিলিয়ন টাকা । নিলামে অংশ নিতে পারবেন েয েকউ । তবে ক্রেতাকে প্রমাণ দিতে হবে তিনি নিলামে কেনার পর বন্যপ্রাণের উপযুক্ত যত্নআত্তি করতে পারবেন ।
পশুর ডাক্তার মহম্মদ রিজওয়ান খান জানিয়েছেন গত বছরও এক বার চেষ্টা করা হয়েছিল । কিন্তু ক্রেতারা উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে পারেননি। নুমন হাসান জানিয়েছেন তিনি দুটো বা তিনটে সিংহ কেনার চেষ্টা করবেন অবশ্যই। তাঁর মতে, ব্যক্তিগত সংগ্রাকদের জন্য নিলাম ভাল সুযোগ ।
আরও পড়ুন : নিজের হাতে তৃষ্ণার্ত কুকুরকে জল খাওয়াচ্ছেন এক ব্যক্তি, ভিডিও ভাইরাল হতেই সেলাম জানাল নেটদুনিয়া
অন্যদিকে পাকিস্তানের পশুশালাগুলি বন্য প্রাণীদের প্রতি অযত্নের জন্য কুখ্যাত । তবে ২০০ একর জমিতে বিস্তৃত লাহৌেরর চিড়িয়াখানা এই অভিযোগের বাইরেই ছিল । এই পশুশালার পশুপ্রাণীর ডাক্তার খান জানিয়েছেন লাহৌর সাফারি জু-তে যথাসম্ভব সেরা যত্নআত্তিই দেওয়া হয়। বন্দিত্বেও বন্যপ্রাণীরা ভাল জীবন কাটাচ্ছে, দাবি তাঁর ।