বর্তমান দিনে খড়্গপুরে হয়েছে সুদীর্ঘ রেল স্টেশন, প্রযুক্তিবিদ্যার অন্যতম প্রাচীন কেন্দ্র আইআইটি খড়গপুর, রয়েছে একাধিক বিদ্যালয়, হাসপাতাল এমনকি মেট্রোপলিটন শহরও। স্বাভাবিকভাবে উঁচু টিলা এলাকা আজ পরিণত হয়েছে শহরে। খড়্গপুরেই রয়েছে বায়ুসেনার বিমান ঘাঁটি। স্বাভাবিকভাবে সারা দেশের কাছে এক অন্যতম নাম খড়গপুর। খড়গপুরকে কেন্দ্র করে একাধিক দুর গন্তব্যে ট্রেনের যাতায়াত। স্বাভাবিকভাবে ইতিহাস এবং প্রযুক্তির মেলবন্ধন ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এই মহকুমায়।মনে করা হয়, আজ থেকে প্রায় শতাধিক বছর আগে উঁচু টিলা কেটে তৈরি করা হয় রাস্তা। বসানো হয় রেলপথ। ব্রিটিশ সময়কালে যা পরিচিত ছিল বেঙ্গল-নাগপুর রেলওয়ে নামে। জঙ্গলাকীর্ণ এই জায়গা কেটে সাফ করে গড়ে তোলা হয় রেল নগরী।
advertisement
আরও পড়ুন: শীতে এক দিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন কলকাতার খুব কাছের এই কয়েকটি জায়গা! মন ভরে যাবে
তবে বর্তমানে ব্রিটিশ শাসনের পরে বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ে নাম পরিবর্তিত হয়ে হয় দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে।এখন খড়্গপুরের অধিকাংশ এলাকায় রেলের আবাসন।সেখানে থাকেন বহু রেল কর্মী। এছাড়াও একাধিক রায়ত জমিতে একাধিক ভাষার মানুষের বসবাস।ঐতিহাসিকভাবে খড়গপুর, হিজলি রাজ্যের একটি অংশ ছিল। ইতিহাসবিদরা মনে করেন, ষোড়শ শতকের গোড়ার দিকে খড়গপুর তখনও ঘন জঙ্গলে ঘেরা একটি ছোট গ্রাম ছিল। গ্রামটিতে ছিল উঁচু পাথর অনুর্বর জমি। খড়্গপুরের কাছে একমাত্র জনবসতি ছিল হিজলি। হিজলি ছিল বঙ্গোপসাগরের ব-দ্বীপে রসুলপুর নদীর তীরে একটি ছোট দ্বীপ গ্রাম।হিজলি শাসন করতেন তাজ খান।অন্যদিকে মনে করা হয়, খড়গপুরের উপকণ্ঠে অবস্থিত ‘খড়গেশ্বর’ নামক পুরানো শিব মন্দিরের নাম থেকে খড়্গপুর নামটি এসেছে ।
এটাও বলা হয় যে মন্দিরটি রাজা খড়গ সিং পালের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং তার নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছিল। শুধু ইতিহাস কিংবা পুরাণহিসেবে নয়, খড়্গপুরের সঙ্গে রয়েছে স্বাধীনতার ইতিহাসও।স্বাভাবিকভাবে ইতিহাস এবং স্বাধীনতার ইতিহাস মেলবন্ধন ঘটেছে মিনি ইন্ডিয়া খড়্গপুরে। দ্রুততার যুগে সে অর্থে ইতিহাস না খোঁজা হলেও মিশ্র ভাষাভাষী মানুষের বসবাসের এই জায়গা বহন করে চলেছে সুদীর্ঘ ইতিহাসের নানা নিদর্শন।
রঞ্জন চন্দ





