বর্ধমান-সাহেবগঞ্জ শাখায় নলহাটি জংশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। অথচ স্টেশনটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় পড়ে রয়েছে। এই জায়গা গুরুত্বপূর্ণ কারণ সতীর ৫১ পীঠের অন্যতম নলাটেশ্বরী মন্দির রয়েছে। এর পাশাপাশি রয়েছে বৃহৎ পাথর শিল্পাঞ্চল। তবে এত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পর্যটকরা এসে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কারণ, রেললাইন থাকলেও অধিকাংশ ট্রেনের স্টপেজ নেই।
advertisement
অন্যদিকে হাতে গোনা যে কয়েকটি লোকাল ট্রেন রয়েছে সেটিও নির্দিষ্ট সময়ে চলাচল করে না। ঠিক তেমনই অত্যন্ত ছোট নলহাটি প্ল্যাটফর্ম। যাত্রীদের সুবিধার্থে স্টেশনের তেমন কোনও উন্নয়ন হয়নি। প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য কম হওয়ায় এক্সপ্রেস ট্রেন দাঁড়ানোর পর কিছু কামরা প্ল্যাটফর্মের বাইরে থাকে। তখন যাত্রীদের ওঠানামায় অসুবিধে হতো। লাগেজ নিয়ে পাথরের উপর দিয়ে যেতে গিয়ে অনেকেই দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছেন। বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও অসুস্থ রোগীদের সমস্যায় পড়তে হয়।
প্রসঙ্গত প্রায় তিন বছর ধরে স্টেশনের পরিকাঠামো উন্নয়ন-সহ বেশ কিছু দাবিতে আন্দোলন করে আসছে নলহাটি নাগরিক মঞ্চ। লাইনে নেমে ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন অনেকবার। প্রতি বছর ১১ এপ্রিল নলহাটি জংশন পরিদর্শনে এসে মঞ্চের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার মিলিন্দ কে দেউস্কর। নাগরিক মঞ্চ দাবি করেন, সেইসময় প্ল্যাটফর্ম বাড়ানো-সহ জংশনের সামগ্রিক বিকাশে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে তার কোনও সুরাহা মেলেনি। ফলে রেল যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়ছে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার থেকে এই জংশনে এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি দু’বার করে দাঁড়াতে শুরু করেছে। ট্রেন একবার থামার পর পিছনের কামরার যাত্রীদের জন্য আবার প্ল্যাটফর্মে দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছে। এতে যাত্রীদের সুবিধা হচ্ছে। তবে রেলের পরিকাঠামো নিয়ে যাত্রীরা প্রশ্ন তুলছেন। সকলেই চাইছেন প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য বাড়ানো হোক।






