ঐশ্বর্যকে ফেলেছিলেন জোর প্রতিযোগিতার মুখে, রেখার সঙ্গে কাজও করেছিলেন, সন্ন্যাস গ্রহণের সিদ্ধান্ত বদলে দেয় সব, অভিনেত্রীকে মনে পড়ে?
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
She Gave Tough Competition To Aishwarya Rai: মডেলিংয়ের পর তিনি অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন এবং শীঘ্রই ইন্ডাস্ট্রির কিছু বড় তারকাদের সঙ্গে নানা ছবিতে অবিস্মরণীয় অভিনয় করেন।
এক সময় তাঁর আত্মবিশ্বাসী পদচারণার ছন্দে মুখর হত র‍্যাম্প । সুস্মিতা সেন এবং ঐশ্বর্য রাইয়ের সঙ্গেই মর্যাদাপূর্ণ মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেন এবং সঙ্গে সঙ্গেই ফ্যাশন জগতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নেন। তাঁর মডেলিং কেরিয়ারের যাত্রা দ্রুত এবং শীঘ্রই শুরু হয়েছিল, তাঁর নামযশ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছিল। চলচ্চিত্র থেকে শুরু করে ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ পর্যন্ত তিনি ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে প্রশংসিত অভিনেত্রীদের অন্যতম হয়ে ওঠেন।
advertisement
ভক্তরা তখনও বুঝতে পারেননি যে তাঁর পথ ধীরে ধীরে একটি অপ্রত্যাশিত দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। আমরা যে অভিনেত্রীর কথা বলছি তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন বরখা মদন, একজন প্রতিশ্রুতিশীল মডেল হিসেবে কেরিয়ার শুরু করলেও যিনি পরবর্তীতে বলিউডে পা রাখেন এবং দর্শকদের মুগ্ধ করেন। তিনি ১৯৯৪ সালের মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় মিস ট্যুরিজম ইন্ডিয়া খেতাবও জিতেছিলেন।
advertisement
মডেলিংয়ের পর তিনি অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন এবং শীঘ্রই ইন্ডাস্ট্রির কিছু বড় তারকাদের সঙ্গে নানা ছবিতে অবিস্মরণীয় অভিনয় করেন। ১৯৯৬ সালের ব্লকবাস্টার 'খিলাড়িওঁ কা খিলাড়ি' ছবিতে তিনি অক্ষয় কুমার, রেখা এবং রবিনা টন্ডনের মতো প্রসিদ্ধ অভিনেতাদের ভিড়ে আলাদা করে নজর কেড়ে নিয়েছিলেন, তারকাখচিত অভিনেতাদের মধ্যেও তিনি নিজের জায়গা ধরে রেখেছিলেন।
advertisement
রাম গোপাল ভার্মার ভূত ছবিতে মনজিতের চরিত্রে তাঁর অভিনয়ের কথাও ভোলা সম্ভব নয়, কারণ তিনি এমন একটি পারফরম্যান্স দিয়েছিলেন যা দর্শকদের গায়ে কাঁটা ধরিয়ে দিয়েছিল। শুধু সিনেমা নয়, তিনি ন্যায় এবং ১৮৫৭ ক্রান্তির মতো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে টেলিভিশনেও নিজের প্রতিভার ছাপ ফেলেছিলেন, রানি লক্ষ্মীবাঈয়ের চরিত্রে যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁর মধ্যে বরখা মদনের নাম থাকবেই।
advertisement
তাঁর জগৎ গ্ল্যামার, খ্যাতি এবং প্রশংসায় ভরা থাকা সত্ত্বেও এক সময়ে তিনি সাফল্যের উদ্দেশ্য এবং অনুভূতির শূন্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। শান্তি এবং আত্মদর্শনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তিনি আধ্যাত্মিক গ্রন্থগুলি পড়তে শুরু করেন, বৌদ্ধ শিক্ষা এবং দলাই লামার তাঁকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেন। ধীরে ধীরে তাঁর ভেতরের কণ্ঠস্বর আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে, যা তাঁকে ক্যামেরা, মেকআপ এবং সেটের ভিড় থেকে নিজেকে দূরে রাখতে বাধ্য করে।
advertisement
২০১২ সালে তিনি এমন একটি সিদ্ধান্ত নেন যা অনেককে হতবাক করে দেয়। তিনি গ্ল্যামারের জগৎ সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করে একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসিনী হয়ে ওঠেন, এমনকি নতুন নাম ধারণ করেন- গ্যালটেন সামটেন। তিনি হিমালয়ের উপত্যকায় চলে যান, ধ্যান এবং ভক্তির মার্গ বেছে নেন। বর্তমানে গ্যাল্টেন সামটেন একটি সরল, আধ্যাত্মিক জীবনযাপন করেন। তিনি যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়, সেখানে তিনি বৌদ্ধধর্ম এবং ইনার হিলিং বা অভ্যন্তরীণ নিরাময় সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেন।
