TRENDING:

Knowledge Story: এই ৩ জন ব্যক্তি পাসপোর্ট ছাড়াই বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে যেতে পারেন! জানেন কি তাঁরা কারা?

Last Updated:

সেই বিশেষ মানুষগুলির তালিকায় রয়েছেন ব্রিটেনের রাজা, জাপানের রাজা এবং রানি। ব্রিটিশ রাজসিংহাসনে চার্লস আসীন হওয়ার আগে এই সুবিধাটি পেতেন রানি এলিজাবেথ।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতা: গোটা বিশ্বে পাসপোর্ট ব্যবস্থা চালু হওয়ার ১০২ বছর পূর্ণ হল। এক দেশ থেকে আর এক দেশে ভ্রমণের জন্য সাধারণত পাসপোর্টের প্রয়োজন হয়। এমনকী দেশের রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য একটি ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্ট ব্যবহার করে থাকেন। তবে বিশ্বের ২০০টিরও বেশি দেশে এমন ৩ জন বিশেষ ব্যক্তি রয়েছেন, যাঁরা বিনা পাসপোর্টেই বিভিন্ন দেশে যেতে পারেন। এমনকী তাঁদের পাসপোর্ট প্রসঙ্গে প্রশ্ন তো করা হয়ই না, তার বদলে কোথাও গেলে বাড়তি আতিথেয়তা দেওয়া হয়। আর প্রোটোকল মেনে পূর্ণ সম্মানও দেওয়া হয়। সেই বিশেষ মানুষগুলির তালিকায় রয়েছেন ব্রিটেনের রাজা, জাপানের রাজা এবং রানি। ব্রিটিশ রাজসিংহাসনে চার্লস আসীন হওয়ার আগে এই সুবিধাটি পেতেন রানি এলিজাবেথ।
এই ৩ জন ব্যক্তি পাসপোর্ট ছাড়াই বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে যেতে পারেন! জানেন কি তাঁরা কারা?
এই ৩ জন ব্যক্তি পাসপোর্ট ছাড়াই বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে যেতে পারেন! জানেন কি তাঁরা কারা?
advertisement

ব্রিটেনের রাজা:

চার্লস ব্রিটেনের রাজসিংহাসনে বসার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর সেক্রেটারি নিজেদের দেশের বিদেশ মন্ত্রকের মাধ্যমে সমস্ত দেশে এই সংক্রান্ত বার্তা পাঠিয়ে দেন। তিনি জানান, চার্লস যেহেতু এখন ব্রিটেনের রাজা, তাই তাঁকে সম্মানের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হোক। এতে যেন কোনও প্রতিবন্ধকতা না থাকে। এর পাশাপাশি প্রোটোকলের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। তবে ব্রিটেনের রাজা এই সুবিধা বা অধিকার পেলেও তাঁর স্ত্রী কিন্তু তা পান না। অন্য দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর কাছে ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্ট থাকা আবশ্যক। একই ভাবে রাজপরিবারের প্রধান ব্যক্তিদের কাছেও ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্ট থাকতে হবে। তাঁদের যে কোনও দেশের বিমানবন্দরে যাওয়া-আসার পথ আলাদা।

advertisement

আরও পড়ুন– পাকিস্তানি বউদিকে দেখতে ভিড় বাড়ছে কেবলই, গ্রামবাসীরা বলছেন কোনও অসুবিধা হতে দেবেন না!

রানি এলিজাবেথের অধিকার:

ব্রিটেনের রাজসিংহাসনে যখন রানি এলিজাবেথ আসীন ছিলেন, তখন তাঁর পাসপোর্টের প্রয়োজন হত না। তবে তাঁর স্বামী প্রিন্স ফিলিপকে নিজের সঙ্গে অবশ্যই ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্ট রাখতে হত।

আরও পড়ুন– এক জন স্ত্রী তাঁর স্বামীকে দেহের কোন অংশ স্পর্শ করতে দেন না? ইউপিএসসি পরীক্ষার এই উত্তর জেনে নিন !

advertisement

জাপানের সম্রাট ও সম্রাজ্ঞী

জাপানের সম্রাট ও সম্রাজ্ঞী – উভয়ই এই সুবিধা পেয়ে থাকেন। বর্তমানে জাপানের সম্রাট নারুহিতো এবং তার স্ত্রী মাসাকো ওওয়াদা জাপানের সম্রাজ্ঞী। সম্রাট নারুহিতোর বাবা আকিহিতো সম্রাট পদ থেকে ছেড়ে দেওয়ার পর তিনি এই পদ গ্রহণ করেন। যত দিন আকিহিতো জাপানের সম্রাট পদে ছিলেন, তত দিন তাঁর এবং তাঁর স্ত্রীর পাসপোর্টের কোনও প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু এখন বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্ট রাখতে হয়। জাপানের কূটনৈতিক নথি ঘেঁটে জানা যায় যে, ১৯৭১ সাল থেকে দেশের সম্রাট এবং সম্রাজ্ঞীর জন্য এই বিশেষ ব্যবস্থা শুরু করে সে দেশের বিদেশ মন্ত্রক।

advertisement

অন্যান্য দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতিদের জন্য:

বিশ্বের বাকি সমস্ত প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি যখন এক দেশ থেকে অন্য দেশে যান, তখন তাঁদের ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্ট সঙ্গে রাখতে হয়। তবে তাঁরা নানা সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তাদের সামনে তাঁদের সশরীরে উপস্থিত থাকতে হয় না। এমনকী নিরাপত্তা পরীক্ষা এবং অন্যান্য পদ্ধতি থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তাঁদের। ভারতের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতি এই মর্যাদা পেয়ে থাকেন।

advertisement

ভারত সাধারণত তিন রঙের পাসপোর্ট জারি করে। দেশের সাধারণ নাগরিকদের জন্য থাকে নীল রঙের পাসপোর্ট। উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এবং মন্ত্রীদের আধিকারিকদের জন্য থাকে বিশেষ পাসপোর্ট। আর প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতির জন্য ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্ট মেরুন রঙের হয়।

বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
Knowledge Story: এই ৩ জন ব্যক্তি পাসপোর্ট ছাড়াই বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে যেতে পারেন! জানেন কি তাঁরা কারা?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল