কিন্তু আপনি কি জানেন, সাধারণ নিয়মের বিপরীতে গিয়ে বৃহন্নলারা রাতে তাদের শবযাত্রা বের করেন। রাতের অন্ধকারে মৃতদেহের শেষকৃত্যও হয়। আপনার মনে নিশ্চয়ই এই প্রশ্ন জাগছে, বৃহন্নলারা কেন এমন করেন?
আসলে তাঁদের জীবন আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতো সহজ নয়। পদে পদে লড়াই করতে হয় তাঁদের। জন্মের সময় থেকে মৃত্যুর সময় পর্যন্ত তাঁদের এই লড়াই চলে।
advertisement
আরও পড়ুন- গড়গড় করে বলতে থাকে কৃষ্ণ প্রণাম মন্ত্র, সরস্বতী মন্ত্র! ছোট্ট একরত্তির প্রতিভা
কারও ঘরে সন্তান জন্ম নিলে তাঁরা এসে আশীর্বাদ করেন। বলা হয়, তাঁদের আশীর্বাদে সন্তানের ভবিষ্যৎ আলোকিত হয়। তবে তাঁদেরই জীবন-সংক্রান্ত গোপন রহস্য অধিকাংশ মানুষের কাছেই উন্মোচিত হয়নি। একজন বৃহন্নলা মারা যাওয়ার পর তাঁর পরিজনরা মৃত্যুর উদযাপন করেন। পোশাক বিতরণ করা হয়। নাচ-গান হয়। এমনকী রাতের অন্ধকারে মৃতদেহের সৎকার করা হয়।
জ্যোতিষী-পণ্ডিত শত্রুঘ্ন ঝা জানান, এর পিছনে একটি বড় কারণ রয়েছে। তিনি বলেন, বৃহন্নলারা সমাজের জন্য তাদের সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেন। তাঁদের মৃত্যুর পরেও তাঁরা সমাজের জন্য উদ্বিগ্ন থাকেন। তিনি আরও বলেন, বৃহন্নলারা বিশ্বাস করেন, বৃহন্নলা হয়ে জন্ম নেওয়া তাঁদের জীবনের সবচেয়ে বড় অভিশাপ। এই জীবন তাঁদের কাছে নরক যন্ত্রণার মতো।
একজন বৃহন্নলা মারা গেলে তাই তাঁরা উদযাপন করেন। আসলে তাঁরা ভাবেন, এই অভিশপ্ত জীবন থেকে মুক্তি হয়েছে। যে ব্যক্তি মারা গিয়েছেন তিনি এই নারকীয় জীবন থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
আরও পড়ুন- ছোট্ট ‘এই’ কাজ করলেই হাতেহাতে কড়কড়ে ৫০০০টাকা! কী করতে হবে? কী ভাবে পাবেন টাকা?
শুধু তাই নয়, বৃহন্নলাদের শবযাত্রা সাধারণ মানুষকে দেখতে দেওয়া হয় না। সেই জন্য রাতের আঁধারে তাদের শবযাত্রা বের করা হয়। এমনকী মৃতদেহও রাতেই সৎকার করা হয়।
