প্রতিবছর তাঁর কাছে সেই সব গল্প শুনতে আসেন পাড়ার যুবকরা। বয়স হলে কী হবে এখনও তিনি কিন্তু হাঁটাচলা করতে পারেন। নিজে হেঁটে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে প্রত্যহ প্রণাম করতে যান। এই মুহূর্তে তিনি ইতিহাসের জীবন্ত দলিল। বয়স তাঁর এখন ৯৯, কিন্তু চোখের দৃষ্টি ও স্মৃতির পরিসর এখনও অমলিন। স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্নিঝরা দিনগুলো তিনি দেখেছেন খুব কাছ থেকে।
advertisement
ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সংগ্রামী চারুচন্দ্র ভান্ডারীর শিষ্য-যাঁর আদর্শ ও সংগ্রামের আলো তাঁর জীবনকে গড়ে দিয়েছে। বিশ্বনাথবাবুর কণ্ঠে শোনা যায় সেই অতীত দিনের গল্প, যখন দেশ জুড়ে স্বাধীনতার দাবিতে গর্জে উঠেছিল জনতার ঢেউ। তাঁর কিশোর বয়সের চোখে ধরা পড়েছিল মহাত্মা গান্ধির সেই শান্ত অথচ দৃঢ় উপস্থিতি যেন এক জীবন্ত প্রতীক, যিনি মানুষের হৃদয়ে জাগিয়েছিলেন স্বপ্ন আর সাহসের আগুন। আজও সেই কথা মনে পড়ে যায় তাঁর।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
চারুচন্দ্র ভান্ডারী মহাত্মা গান্ধির অনুসারী ছিলেন। ফলে মহাত্মা গান্ধির চিন্তাধারা প্রভাব ফেলেছিল বিশ্বনাথবাবুর মনেও। তবে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি বীর বরেণ্য নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ভাবধারায় অনুপ্রাণিত হন। তাঁর এই সাহসিকতার গল্প এখনও অনুপ্রেরণা যোগায় স্থানীয় যুবকদের।