আমাদের ঘুমের ধরনে কী পরিবর্তন এসেছে
দুই-পর্যায়ের ঘুমের ধরনটি প্রায় দুই শতাব্দী আগে থেকে অদৃশ্য হতে শুরু করে। কৃত্রিম আলো সন্ধ্যায় জেগে থাকা দীর্ঘায়িত করেছে এবং প্রাকৃতিক ঘুমের সময় উল্লেখযোগ্যভাবে বিলম্বিত করে দিয়েছে। গ্যাস ল্যাম্প, তেলের ল্যাম্প এবং তার পরে আধুনিক বৈদ্যুতিক আলো এই সময়সূচী পরিবর্তন করেছে। মানুষ এখন রাতের শেষের দিকে সক্রিয় থাকে, প্রথম ঘুমকে সংক্ষিপ্ত করেছে। আধুনিক জীবন এর পরিবর্তে একটি দীর্ঘ, একটানা আট ঘন্টার ঘুম পছন্দ করে। সামাজিক প্রত্যাশা এবং কাজের সময়সূচী এই ঘুমকে স্বাভাবিক করে তুলেছে।
advertisement
শীত এলেই সাপেরা কোথায় ‘ভ্যানিশ’ হয়ে যায় জানেন? ঘুম নাকি জীবনই শেষ? বিজ্ঞানীরা যা বলছেন
কেন মানুষ মধ্যরাতে জেগে ওঠে
মধ্যরাতে জেগে ওঠা ঐতিহাসিকভাবে প্রাকৃতিক এবং জৈবিকভাবে স্বাভাবিক ছিল। কৃত্রিম আলোর অভাব মেলাটোনিনের সূত্রপাত এবং সার্কাডিয়ান ছন্দকে নিয়ন্ত্রিত করে। সন্ধ্যার আলোর সংস্পর্শে আসার ফলে এখন প্রাকৃতিক ঘুমের চক্রগুলি বাস্তবায়িত হতে অনেক সময় নেয়। এখন রাত জেগে থাকাকে খুব ভুলভাবে প্রতিকূল নির্ণয় করা হয় এবং অনিদ্রা হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
বিজ্ঞান
ঘুম নিয়ে যে সব গবেষণা হয়েছে তা এই তত্ত্বকে সমর্থন করে। কম আলো এই দুই বারের ঘুমে ফিরে যেতে বাধ্য করে। ডায়েরি ও নৃতাত্ত্বিক প্রমাণ দেখায় যে, আজও কিছু জায়গায় এই দুই বারের ঘুমের অভ্যাস বিদ্যমান। এক্ষেত্রে বিজ্ঞান পরামর্শ দেয় যে, এই বিভক্ত ঘুম একটি গভীরভাবে স্বাভাবিক মানবিক বৈশিষ্ট্য।
আজ এর অর্থ কী
মাঝরাতে জেগে ওঠা স্বাভাবিকভাবেই ঘুমের ব্যাধি নয়। ঐতিহাসিক ঘুমের ধরনগুলি বোঝা আধুনিক ঘুম থেরাপির পদ্ধতিগুলিকে উন্নত করতে পারে। আধুনিক জীবন প্রাকৃতিক ছন্দ পরিবর্তন করেছে, কিন্তু জীববিজ্ঞান মূলত অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রাচীন ঘুমের অভ্যাস মানুষের জন্য এখনও স্বাস্থ্যকর ঘুম নিয়ে আসতে পারে যা দেখা যাচ্ছে।
