কিন্তু তাদের লক্ষ্য এটিকে ওড়ানো নয়। তাদের লক্ষ্য হল বর্তমান প্রজন্মকে উচ্চমানের স্বপ্ন দেখানো ও উপরে ওঠার অনুপ্রেরণা জাগান। শিক্ষক দম্পতির কথা, বইয়ের পাতা ছেড়ে বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে বর্তমান প্রজন্ম যেন আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখতে পারে। এই দম্পতির কথা, ‘‘বর্তমান প্রজন্ম প্রযুক্তি আর প্রতিযোগিতার দৌড়ে অনেক সময় বাস্তব জীবনের বাইরে গিয়ে কল্পনার ডানায় উড়তে ভুলে যাচ্ছে।’’ তারা চেয়েছেন বর্তমান প্রজন্মকে সেই স্বপ্নে আবার ফিরিয়ে আনতে। একদম চোখের সামনে, ছাদের উপর দাঁড় করিয়ে। শিক্ষক অধীর কুমার হালদার তার বাঁকুড়ার এক বন্ধু ধনঞ্জয় চৌধুরীর সহযোগিতায় তাঁর দক্ষ মিস্ত্রীদের সাহায্যে এই হেলিকপ্টারের মডেলটি তৈরি করেছেন।
advertisement
বড়জোড়া এলাকার একটি কারখানায় দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে চলেছে এই হেলিকপ্টার নির্মাণের কাজ। লোহা, কাঠ, কাঁচ, প্লাস্টিক ও রঙের সুচারু সংমিশ্রণে নির্মিত এই মডেলটি এতটাই নিখুঁত ও বাস্তবরূপী, যে যেকোনও মানুষ তা দেখে বিস্মিত না হয়ে পারবে না। এই হেলিকপ্টার কখনও আকাশে উড়বে না, সেটা জানেন শিক্ষক দম্পতি অধীর ও মৌসুমী। কিন্তু তাদের লক্ষ্য সেটা নয়। তাঁরা চান তাঁদের একমাত্র ছেলে প্রীতমের পাশাপাশি বর্তমান প্রজন্ম এই হেলিকপ্টার দেখে স্বপ্ন দেখতে শিখুক।
কল্পনার ডানায় ভর করে নতুন কিছু ভাবতে শিখুক। প্রযুক্তি আর অতিরিক্ত পড়াশোনার চাপে ছেলেমেয়েরা যেন কল্পনাশক্তিকে ভুলে না যায়। পুরুলিয়ার এই শিক্ষক দম্পতির গল্প আমাদের শেখায়, ‘‘শিক্ষা শুধু বইয়ের পাতায় আটকে থাকে না, ইচ্ছে আর উদ্যম থাকলে সেই শিক্ষা বাস্তব জীবনের আকাশেও ডানা মেলতে পারে।’’