প্রথমে মাত্র ১০০ টাকার টাস্ক করে ২০০ টাকা ফেরত পান তাঁরা। এর পর ৫০০ টাকায় ১০০০ টাকা ফিরে এলে তাঁদের বিশ্বাস আরও বাড়ে। এইভাবে টাস্কের সংখ্যা বাড়তে থাকে, বিনিয়োগের অঙ্কও বাড়ে। কিন্তু কয়েকটি টাস্কের পর, টাকা ফেরত দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
advertisement
সাপের গ্রাম! দেশে এমনটি আর কোথাও নেই…মানুষের পাশে কিলবিল করছে ‘প্রতিবেশী’ সাপ! কোথায় জানেন?
কথায় প্রেমে ফেলত যুবক, স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই শুনলেন মন দিয়ে… তার পর ঘাম ছুটে গেল পুলিশেরও!
তার পর কী হল?
যখন তাঁরা টেলিগ্রামে কাস্টমার কেয়ারে অভিযোগ জানান, তখন জানানো হয় যে পুরো টাকা ফেরত পেতে হলে ২০টি টাস্ক পূর্ণ করতে হবে। কিন্তু ১৭টি টাস্কের পর হঠাৎ কাজ দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। বারবার অভিযোগ জানালেও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।
এই সময় পর্যন্ত তাঁরা মোট ৩,৬৮,১০০ টাকা বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেন। প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে অবশেষে তাঁরা ওয়েভ সিটি থানায় অভিযোগ জানান।
সূত্রের খবর, দম্পতির সঙ্গে দিনরাত মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে তাঁদের বিশ্বাস অর্জন করেছিল এক যুবক। তার পর সেই বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক। ঘটনাটি যখন পুলিশের কানে পৌঁছয়, তখন তারাও হতবাক। কী ভাবে এই কাণ্ড ঘটল, জানলে আপনারও চক্ষু চড়কগাছ!
কী ঘটেছিল?
গাজিয়াবাদের ওয়েভ সিটি এলাকার আদিত্য ওয়ার্ল্ড সিটি কলোনির বাসিন্দা মনোজ উপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি শর্মাকে এক অনলাইন প্রতারক টেলিগ্রামের মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে প্রায় ৩.৬৮ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে। প্রতারক তাদের ‘মিশো’ নামক একটি অনলাইন শপিং সংস্থার ছদ্মবেশে পার্ট টাইম কাজের অফার দেয় এবং নানা ‘টাস্ক’-এর নামে বিনিয়োগ করায়।
আইনি পদক্ষেপ ও পুলিশের হুঁশিয়ারি
পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৪১৮(৪) (বিশ্বাসভঙ্গ করে প্রতারণা) এবং আইটি অ্যাক্টের ধারা ৬৬ডি (কম্পিউটার সম্পদ ব্যবহার করে প্রতারণা) অনুযায়ী মামলা রুজু করেছে।
এসিপি প্রিয়শ্রী পাল জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তদের শনাক্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি তিনি সাধারণ মানুষকে এধরনের অনলাইন প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শও দিয়েছেন।
“সোজা রাস্তায় টাকা দ্বিগুণ” – এই ধরণের লোভে পা দেবেন না। চাকরি বা ইনভেস্টমেন্টের নামে হঠাৎ কেউ বেশি রিটার্ন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে সতর্ক হোন। পুলিশ বা সাইবার সেলকে জানান, কারণ প্রতারকরা শুধু টাকাই নয়, আত্মবিশ্বাসও চুরি করে নেয়।