এমনটাই ঘটেছে রাজস্থানের হনুমানগড়ে। সাইবার অপরাধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এক ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হনুমানগড় পুলিশ জানিয়েছে, ২৭ কোটি টাকার সাইবার প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজার।
advertisement
হনুমানগড় জেলার সাইবার প্রতারণা মামলায় এই প্রথম কোনও কোনও ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে গ্রেফতার করা হল। এই ঘটনা সামনে আসার পর হতবাক পুলিশ প্রশাসনও। গ্রাহকরা আতঙ্কিত। তাঁরা বলছেন, রক্ষকই যদি ভক্ষক হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ যায় কোথায়?
ব্যাঙ্ক নিরাপদ জায়গা, কষ্টের টাকা মার যাবে না, এই ভেবেই টাকা রাখেন গ্রাহক। কিন্তু সেটাই জালিয়াতির আখড়া! আর তাতে মদত দিচ্ছেন খোদ ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। এমন ঘটনাও যে ঘটতে পারে, এখনও অনেকের বিশ্বাস হচ্ছে না।
হনুমানগড় সাইবার থানার ইনচার্জ হনুমানারাম বিষ্ণোই জানিয়েছেন, ২৯ জানুয়ারি ২৭ কোটি টাকার সাইবার জালিয়াতির ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করে পুলিশ। এই মামলায় পাঁচজন সাইবার প্রতারক – আকাশদীপ, আদিত্য, জাকির হুসেন, কৈলাশ খীচড় এবং নির্দেশ বিষ্ণোইকে গ্রেফতার করা হয়েছে।ধৃতদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ৬০টি পাসবুক, ১১টি মোবাইল ফোন, ৮টি সিম কার্ড, ৭টি জাল রাবার স্ট্যাম্প-সহ ব্যাঙ্কের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ব্যাঙ্ক ম্যানেজার সহ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
তদন্তে জানা গিয়েছে, ২৭ কোটি টাকা জালিয়াতি মামলায় ধৃতদের মধ্যে একজনের মা ব্যাঙ্কের সাফাই কর্মী ছিলেন। তাঁর মাধ্যমেই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সঙ্গে সাইবার জালিয়াতদের যোগাযোগ হয়। তারপর তারা হাত মিলিয়ে গ্রাহকদের লুটতে শুরু করেন।
ব্যাঙ্ক ম্যানেজার গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য সাইবার জালিয়াতদের হাতে তুলে দিতেন বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, পুলিশ অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়ার পরেও তিনি প্রতারকদের টাকা তোলার সুযোগ করে দিতেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
ঘটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অনুমান করা হচ্ছে, এই ঘটনার সঙ্গে আরও বড় মাথা জড়িত থাকতে পারে। জিজ্ঞাসাবাদে বড় চক্র এবং সাইবার জালিয়াতির অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।