শিকোহাবাদের বালাজি রোডের গায়েই বড় হোটেল। সেখানেই প্রচুর পরিমাণে অবৈধ মদ মজুত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়,চলছে মদের অবৈধ কারবারও। এই খবর পাওয়া মাত্র তহসিলদার, আবগারি বিভাগ এবং পুলিশকে নিয়ে যৌথ অভিকযান চালান এসডিএম।
advertisement
বিশাল পুলিশ বাহিনী দেখে হোটেলে হইচই পড়ে যায়। শুরু হয় তল্লাশি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল, হোটেল থেকে এক বোতল মদও উদ্ধার হয়নি। তবে এক প্রেমিক যুগলকে আটক করে পুলিশ। এই খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ভিড় জমে যায় হোটেলের বাইরে।
অভিযোগ, ফিরোজাবাদের হোটেল এবং রেস্তরাঁগুলিতে অবৈধ মদ এবং দেহব্যবসা চলছে। শুধু তাই নয়, বেশিরভাগ হোটেলেরই লাইসেন্স নেই বলেও অভিযোগ। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে অভিযান। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশিও চালাচ্ছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় সদ্য নিযুক্ত এসডিএম কৃতী রাজ এবং আবগারি দফতরের কাছে বালাজি রোডের একটি হোটেলে অবৈধ মদ এবং অনৈতিক কার্যক্রম চলছে বলে খবর যায়। রাতেই অভিযানে নামে পুলিশ।
তল্লাশির সময় হোটেলের একটি রুম থেকে এক প্রেমিক যুগলকে আপত্তিকর অবস্থায় পাকড়াও করে পুলিশ। উদ্ধার হয় আপত্তিকর সামগ্রী। এরপর হোটেলটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। যুগলকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
তল্লাশির সময় হোটেল মালিক ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ডিএম) সমস্ত এসডিএম এবং খাদ্য সুরক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন যে তাঁরা যেন নিজেদের অঞ্চলে এ ধরনের কার্যকলাপ বন্ধ করতে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেন।
তবে হোটেলে অবৈধ মদের মজুত পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে এসডিএম কৃতী রাজ জানিয়েছেন, বিষয়টা নিয়ে তদন্ত চলছে। সিও প্রবীণ কুমার জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে এক যুগলকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দুজনেই শিকোহাবাদের বাসিন্দা। তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তবে অবৈধ মদ উদ্ধার হয়নি। হোটেলের কর্মী এবং ম্যানেজারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, অনুমতি ছাড়াই হোটেলটি চলছিল। তাই সিল করে দেওয়া হয়েছে।