চোখ বাঁধার কারণ-
মানুষের চোখ তাঁর শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। যখনই কোনো ব্যক্তি আলো থেকে অন্ধকারে যায়, তখনই তাঁর চোখের মণি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি প্রসারিত হয়। ফলে চোখ সর্বাধিক পরিমাণে আলো পায় এবং অন্ধকারেও সহজে কোনও জিনিস দেখা যায়। কিন্তু যখন মানুষ অন্ধকার ঘর থেকে আলোতে আসে, তখন চোখের মণি প্রসারিত হয় না, সংকুচিত হয় না। বরং আলোর সংস্পর্শে আসা মাত্রই চোখ পরিবেশ অনুযায়ী কাজ করতে শুরু করে। যার কারণে জলদস্যুদের চোখ বেঁধে থাকতে হয়।
advertisement
আরও পড়ুন- বিবাহ লগ্নেই নতুন বরবউ জনপ্রিয় বাংলা গানে নেচে ঝড় তুললেন, নিমেষেই ভাইরাল
জলদস্যুরা মাসের পর মাস ধরে জলের উপর জাহাজে ভেসে থাকে। এই সময় তাদের ঘন ঘন ডেকের কাছে যেতে হয় এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকে নজর রাখতে হয়। ডেকের ভিতর অন্ধকার জায়গা। এমন পরিস্থিতিতে ডাকাতরা যখন ডেকের ভিতরে প্রবেশ করে তখন তারা তাদের চোখের কালো বা লাল ব্যান্ডেজ খুলে ফেলে, যাতে তারা অন্ধকারেও সহজে কোনও জিনিস দেখতে পারে।
প্রকৃতপক্ষে জলদস্যুরা যদি তাদের একটি চোখ বেঁধে না রাখে, তবে তারা যখন আলো থেকে অন্ধকার ঘরে যায় তখন স্পষ্টভাবে কিছুই দেখতে পাবে না। জাহাজ রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়ার ভয়ে তারা চোখের বিশেষ যত্ন নেয়।
জলদস্যুদের একটি চোখ বাঁধার সুবিধা হল, তারা যখন আলো থেকে অন্ধকারে যায়, তখন তাদের চোখের মণি প্রসারিত হতে বেশি সময় লাগে না, কারণ তারা ইতিমধ্যেই অন্ধকারে থাকতে অভ্যস্ত।
আরও পড়ুন- সাত-সাতটা বিয়ের পরই খোলসা হল কনের আসল পরিচয়! বলিউড সিনেমাকেও হার মানাবে এই প্লট
চোখ বাঁধার নিয়ম বেশ পুরনো
জলদস্যুদের চোখ বেঁধে রাখার নিয়ম অনেক পুরনো। এই নিয়মের কারণে শত্রুর সাথে লড়াই করতে, ডাকাতদের অন্ধকার এবং আলো উভয় অবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নিতে চোখ প্রস্তুত রাখতে হয়।