বাংলার পরতে পরতে রয়েছে নানান ইতিহাস। তেমনই মেদিনীপুর বহন করে চলেছে বিপ্লবের প্রতিটি দিনের কথা। দেশকে স্বাধীন করতে এগিয়ে এসেছিল বাংলার যুবকেরা। ক্ষুদিরাম বসু, যিনি অল্প বয়সে নিজের জীবন বলিদান দিয়েছিলেন দেশকে স্বাধীন করতে গিয়ে, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, অনাথ বন্ধু পাঁজা স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম সারির নেতৃত্ব, তারা পড়েছিলেন মেদিনীপুর শহরের পুরানো এই ঐতিহ্যমন্ডিত বিদ্যালয়ে। ১৮৩৪ সালে মেদিনীপুর সদরে প্রতিষ্ঠিত হয় মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল। ব্রিটিশ শাসনকালে মেদিনীপুর শহরে গড়ে ওঠে এই বিদ্যালয়টি, যে বিদ্যালয় জন্ম দিয়েছিল বহু বিপ্লবীকে।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
যা ছিল এককালের বিপ্লবের আঁতুড়ঘর। প্রধান শিক্ষক হিসেবে রাজনারায়ণ বসুর ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। তবে ব্রিটিশ শাসনকালে শুধু ছাত্ররা নয় এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাও অংশ নিয়েছিল স্বাধীনতা সংগ্রামে। এই বিদ্যালয়ে যেমন ক্ষুদিরাম বসু, অনাথ বন্ধু পাঁজার মত ছাত্ররা পড়াশোনা করেছেন তেমনই এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করেছেন হেমচন্দ্র কানুনগো, জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসু, প্যারিলাল বসুর মতো বিপ্লবীরা। শুধু তাই নয়, ক্ষুদিরাম বসুর রাজনৈতিক গুরু সত্যেন্দ্রনাথ বসু ছিলেন এই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র এবং শিক্ষকও।
আরও পড়ুন: মেদিনীপুরের এই পরিবারে যা ঘটল, জানলে চমকে যাবেন! বিরাট সাহসী সিদ্ধান্ত
তবে এই বিদ্যালয়ের সাক্ষী থেকেছে নানা ঘটনার, নানা অত্যাচারের, সংগ্রামের নানা দিনের। বিদ্যালয়ের মধ্যে বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্ত এবং জ্যোতি জীবন ঘোষ গুলি করে হত্যা করে অত্যাচারী জেলা শাসক জেমস পেডিকে। স্বাভাবিকভাবে ১৯০ বছর অতিক্রান্ত এই ঐতিহ্যের বিদ্যালয় বহন করে চলেছে নানা স্মৃতি। প্রতিষ্ঠা থেকে প্রায় ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে লালিতপালিত করেছে স্বাধীনতা সংগ্রামকে।
রঞ্জন চন্দ