সুরক্ষিত, কিন্তু সংখ্যায় খুবই কম:
কিছু কিছু পশু বেঁচে থাকে, কারণ সেখানে মানুষের হস্তক্ষেপ করে — অবশ্য মানুষ এগিয়ে আসে নিজেদের প্রয়োজনের কারণেই। অন্য অনেক কিছুর সঙ্গে তুলনা করলে এই নিম্নলিখিত পাঁচটি প্রজাতি সংখ্যায় তুলনামূলক ভাবে কম।
হাতি: ৪৬০,০০০
ডলফিন: ৬০০,০০০
কুমীর: ১,০০০,০০০
উট: ৩ কোটি ৫০ লক্ষ
পেঙ্গুইন: ৪ কোটি
advertisement
সংখ্যায় প্রচুর, তবুও ঝুঁকির মুখে:
কিছু পশু এবং সরীসৃপ প্রচুর সংখ্যায় দেখা যায়। কিন্তু মানুষের তুলনায় তাদের সংখ্যা এখনও সীমিত। যদি তাদের সংখ্যা কমে, তাহলে সেটা ফুড চেন বা খাদ্যশৃঙ্খলের উপর প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। সেই সঙ্গে জীববৈচিত্র্যকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। এখানে রয়েছে চারটি প্রজাতি:
আলপাকা: ৪ কোটি ৪০ লক্ষ
ক্যাঙারু: ৪ কোটি ৮০ লক্ষ
ঘোড়া: ৬ কোটি
লিজার্ড (এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত টিকটিকি, গেকো, মনিটর লিজার্ড এবং ক্যামিলিয়নস): ৭ কোটি ৬০ লক্ষ
আরও পড়ুন-অকালে সব শেষ…! ৪২ বছরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী, কাঁদছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি
আমরা যেসব প্রাণী পালন করি এবং তাদের উপর নির্ভরশীল:
কিছু পশু আবার আমাদের জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। কারণ আমরা খাবার, সঙ্গ ইত্যাদির জন্য তাদের উপর নির্ভরশীল। স্বাভাবিক ভাবেই এই প্রাণীদের সংখ্যা বেশি।
বিড়াল: ৫৫ কোটি
শূকর: ৭৮ কোটি
ছাগল: ৯০ কোটি
কুকুর: ৯৫ কোটি
ভেড়া: ১০০ কোটি
গরু, মানুষ এবং ইঁদুর:
সভ্যতার সেই সূচনার দিন থেকেই গরু মানবজীবনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। কারণ গরু দুধ দেয় এবং চাষবাসে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ভারতীয় সংস্কৃতিতে পবিত্রতার মর্যাদা পেয়ে আসছে গরু। তবে এরা সংখ্যায় প্রচুর।
গরু: ১৫০ কোটি
মানুষ: ৮০০ কোটিরও বেশি
ইঁদুর: ৯৬০ কোটি
সাপ, মুরগি এবং পাখি:
বেশিরভাগ মানুষ অবশ্য সাপকে ভয় পায়। আর সাপ দেখলেই অস্বস্তি বোধ হয় কারও কারও। আর আমাদের বিশ্বে প্রচুর পরিমাণে সাপ রয়েছে। গৃহপালিত পাখির তালিকার সবথেকে উপরে রয়েছে চিকেন। তবে বেশি সংখ্যায় হওয়া সত্ত্বেও বন্য প্রজাতির পাখির সংখ্যা ধীরে ধীরে কমছে।
সাপ: ১৬৫০০ কোটি
চিকেন বা মুরগি: ৩০০ কোটি
পাখি (সমস্ত প্রজাতি): ৫০০০০ কোটি
অপ্রতিরোধ্য প্রজাতি:
পৃথিবীর বেশিরভাগটাই জল থাকে। ফলে মাছই পৃথিবীর উপর রাজত্ব করছে। আবার বিভিন্ন রোগ ছড়ানো সত্ত্বেও প্রচুর সংখ্যায় জন্মায় মশা। উভয়ই বাস্তুতন্ত্রের মূল অঙ্গ।
মাছ: ৩,২০,০০০ কোটি
মশা: ১,১০,০০,০০০ কোটি
সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন:
এই তালিকায় সবথেকে উপরে রয়েছে অ্যান্টার্কটিক ক্রিল। চিংড়ি মাছের মতো ছোট্ট এই প্রাণীটির সংখ্যা শুনলে চমকে যাবেন যে কেউই।
অ্যান্টার্কটিক ক্রিল: ৫,০০০,০০০,০০০ লক্ষ কোটি
আসলে একসঙ্গে কয়েক কোটি শাবকের জন্ম দেয় এরা। আর অ্যান্টার্কটিকার গরমে জন্মায় ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন। সেগুলি খেয়েই বেঁচে থাকে এই অ্যান্টার্কটিক ক্রিল। তিমি, সিল এবং পেঙ্গুইনরা আবার খাদ্যের জন্য এদের উপরেই নির্ভরশীল। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে, সামুদ্রিক খাদ্যশৃঙ্খলের মেরুদণ্ড হল এই ক্রিল।