লম্বা মানুষদের থেকে বেঁটেদের সমাজে খুব একটা কটূক্তির সম্মুখীন হতে হয় না, কিন্তু বামনদের সর্বত্রই নীচু চোখে দেখা হয়। আজ আমরা এক অবাক করা গ্রামের নাম বলব। সেই গ্রামে মানুষ জন্মায় বামুন হয়ে।
সেই গ্রামে জন্মগ্রহণকারী বেশিরভাগ মানুষই বামন। চিনের সিচুয়ান প্রদেশের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত ইয়াংসি গ্রাম। সেখানে জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ বামন।
advertisement
আরও পড়ুন- UPSC টপার থেকে অনলাইন অনুপ্রেরণা,আইএএস সৃষ্টি দেশমুখের রেজাল্টই তাঁর হয়ে কথা বলে
সেই গ্রামে বসবাসকারী ৮০ জন মানুষের মধ্যে ৩৬ জনের উচ্চতা মাত্র ২ ফুট ১ ইঞ্চি থেকে ৩ ফুট ১০ ইঞ্চি পর্যন্ত। তাই এই গ্রামটি সারা বিশ্বে বামনদের গ্রাম হিসেবে পরিচিত।
বিজ্ঞানীরা গত ৬৭ বছর ধরে এর কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু সফল হননি। যদিও আগে এই গ্রামের মানুষ ছিলেন একেবারেই স্বাভাবিক। সেখানকার প্রবীণদের মতে, কয়েক দশক আগে এই প্রদেশটি একটি বিপজ্জনক রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। তারপর থেকে এই গ্রামের শিশুদের উচ্চতা একটা সময় পর থেমে যায়।
স্থানীয় লোকজনের মতে, ১৯১১ সাল থেকে সেখানে বামন মানুষ দেখা যায়। তবে এই বিপজ্জনক রোগটি ১৯৫১ সালে সনাক্ত করা হয়েছিল। ১৯৮৫ সালে যখন আদমশুমারি হয়, তখন ওই গ্রামে প্রায় ১১৯ টি ঘটনার রিপোর্ট করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন- চোখ বন্ধ করলে কোন রং দেখতে পান? উত্তরটা কিন্তু কালো নয়, তাহলে কী?
একটা সময় পর মানুষের উচ্চতা থেমে যাওয়ার আসল কারণ আজ পর্যন্ত জানা যায়নি। এটা জানার জন্য বিজ্ঞানীরা নানা রকম গবেষণা চালান। কখনো গ্রামের জল, আবার কখনো মাটি ও শস্য পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি।