তাতেও হাল ছাড়েননি বাণিজ্য বিভাগের প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়া৷ সড়ক পথে না গিয়ে আকাশপথ বেছে নেন তিনি৷ তবে বিমান অথবা হেলিকপ্টার নয়, প্যারাগ্লাইডিং করেই উড়ে উড়ে নিজের কলেজে পৌঁছে যান ওই ছাত্র৷ পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিট আগেই পৌঁছে যান ওই ছাত্র৷
আরও পড়ুন: বাড়ি থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে অফিস, প্রতিদিন ভোর চারটেয় ঘুম ভাঙে এই তরুণীর! তার পর…
advertisement
এনডিটিভি-তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাতারার পঞ্চগনিতে একটি ফলের রসের দোকান চালান সমর্থ নামে ওই কলেজ পড়ুয়া৷ পরীক্ষার কথা কোনও কারণে জানতেন না তিনি৷ ওই কলেজ পড়ুয়াকে পরীক্ষাকেন্দ্রে না দেখে তাঁর বন্ধুরাই সমর্থকে ফোন করে জানতে চান তিনি কোথায়৷
বন্ধুদের মুখে পরীক্ষার কথা জানতে পেরেই ১৫ কিলোমিটার দূরে পসারনি গ্রামের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছনোর উপায় ভাবতে শুরু করেন ওই ছাত্র৷ সিদ্ধান্ত নেন প্যারাগ্লাইডিং করেই পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছবেন তিনি৷
যেমন ভাবা তেমন কাজ৷ সাতারার বাসিন্দা গোবিন্দ ইয়েওয়ালে নামে একজন অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস বিশেষজ্ঞর দ্বারস্থ হন ওই পড়ুয়া৷ ছাত্রের মুখে সব শুনে সাহায্য করতে রাজি হন ওই ব্যক্তি৷ নিজের টিমকে নিয়ে দ্রুত ওই ছাত্রকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করেন তিনি৷ কয়েক মিনিটের মধ্যেই একজন প্রশিক্ষকের সঙ্গে প্যারাগ্লাইডিং করে রওনা দেন ওই ছাত্র৷ জ্যাম জটের তোয়াক্কা না করে কয়েক মিনিটের মধ্যেই নিজের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে যান সমর্থ৷ একেবারে নায়োকচিত কায়দায় আকাশ থেকে নেমে এসে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকেন তিনি৷
মহারাষ্ট্রের সাতারা প্যারাগ্লাইডিংয়ের জন্য বিখ্যাত৷ প্যারাগ্লাইডিং করার জন্য একাধিক বিখ্যাত কেন্দ্রও রয়েছে সাতারায়৷ ওই ছাত্রের ফলের রসের দোকানও এরকমই একটি জায়গায়৷ সেই সুবিধেই কাজে লাগান ওই কলেজ পড়ুয়া৷