সন্দেহভাজনরা স্থানীয় সময় সকাল ৯:৩০টার দিকে লুভরে প্রবেশ করে। তারা একটি ট্রাক-মাউন্টেড মালবাহী লিফট ব্যবহার করে একটি জানলা দিয়ে প্রবেশ করে। একটি অ্যাঙ্গেল গ্রাইন্ডার ব্যবহার করে, তারা অ্যাপোলো রুমে প্রবেশ করে এবং মাত্র সাত মিনিটের মধ্যে চুরি করে। তারপর তারা মোটরবাইকে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি অনেককে হতবাক করে দিলেও, লুভর হাই-প্রোফাইল চুরির লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়ার এটিই প্রথম ঘটনা নয়। জাদুঘরের দীর্ঘ এবং মর্যাদাপূর্ণ ইতিহাসে বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটেছে, যেমন –
advertisement
১৯১১ সালে মোনালিসার চুরি
সম্ভবত ইতিহাসের সবচেয়ে বিখ্যাত জাদুঘরে চুরির ঘটনায় এর নাম থাকবে। ১৯১১ সালের ২১ অগাস্ট একজন ইতালীয় কারিগর ভিনসেঞ্জো পেরুগিয়া এই চুরি করেছিলেন। জাদুঘরের কর্মীর পোশাক পরে তিনি রাতভর লুভরের ভেতরে লুকিয়ে ছিলেন এবং পরের দিন সকালে তাঁর কোটের নিচে ছবিটি লুকিয়ে নিয়ে চলে যান। দুই বছরেরও বেশি সময় পরে ১৯১৩ সালে ইতালিতে এটি পাওয়া যায়।
১৯৭১ সালে কোরবেটের দ্য ওয়েভ চুরি
১৯৭১ সালে গুস্তাভ কোরবেটের চিত্রকর্ম দ্য ওয়েভ লুভর থেকে চুরি হয়ে যায়। চুরির বিবরণ আজও রহস্য হিসেবে রয়ে গিয়েছে এবং চিত্রকর্মটি এখনও উদ্ধার করা যায়নি।
আরও পড়ুন: বাংলার দুই স্কুল দেশের সেরা ৩০ স্কুলের তালিকায় নাম তুলল, নাম জানলে গর্ব হবে!
চারদিনের স্টিল লাইফের অন্তর্ধান
আরেকটি রহস্যের মধ্যে রয়েছে জঁ-ব্যাপটিস্ট-সিমিওন চার্দিনের স্টিল লাইফ উইথ আর্টস অ্যাট্রিবিউটস অফ দ্য আর্টস। চিত্রকর্মটি জাদুঘর থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়, যদিও এর নিখোঁজের সঠিক সময়সীমা এবং পরিস্থিতি এখনও অনিশ্চিত।
১৯৮৩ সালে চুরির চেষ্টা এবং ডাকাতি
১৯৮৩ সালে দুটি পৃথক ঘটনা ঘটে। একটি ছিল চুরির চেষ্টা যা জাদুঘরের নিরাপত্তারক্ষীরা দ্রুত বানচাল করে দেয়। দ্বিতীয়টিতে বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক বর্ম সফলভাবেই চুরি যায়। পরে কিছু জিনিসপত্র উদ্ধার করা হলেও এই ঘটনাটি জাদুঘরের সংগ্রহের সুরক্ষা উন্নত করার দাবি তুলেছিল।