TRENDING:

Brides for Sale: পুরুষশাসিত সমাজে দিব্যি রমরমিয়ে চলছে ‘বউ বাজার’! অর্থের বিনিময়ে চলে কনে বিকিকিনি

Last Updated:

আজ এমন এক বাজারের বিষয়ে কথা বলব আমরা, যেখানে বিক্রি হয় কনে। এমনও কি সম্ভব? আর এটা কি বৈধ?

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
সোফিয়া: সারা বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের বাজার দেখা যায়। যেখানে নানা জিনিসপত্র কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু আজ এমন এক বাজারের বিষয়ে কথা বলব আমরা, যেখানে বিক্রি হয় কনে। এমনও কি সম্ভব? আর এটা কি বৈধ? এর সমস্ত উত্তর মিলবে আজকের প্রতিবেদনে। ওই কনের বাজারটির গল্পই আজ শুনে নেওয়া যাক।
পুরুষশাসিত সমাজে দিব্যি রমরমিয়ে চলছে ‘বউ বাজার’! অর্থের বিনিময়ে চলে কনে বিকিকিনি (Representative Image)
পুরুষশাসিত সমাজে দিব্যি রমরমিয়ে চলছে ‘বউ বাজার’! অর্থের বিনিময়ে চলে কনে বিকিকিনি (Representative Image)
advertisement

বুলগেরিয়ায় রয়েছে এই কনের বাজার। এটা সেই দেশে একেবারেই বৈধ। অর্থোডক্স খ্রিস্টান লেন্টের প্রথম শনিবার কেউ যদি সেই দেশের স্টারা জাগোরা (Stara Zagora) শহরে যান, তাহলে তিনি অভিনব এই বউ বাজারের দেখা পাবেন। গোটা শহরটি আনন্দ আর ব্যস্ততায় মুখর হয়ে ওঠে। সুন্দর সাজসজ্জা আর গয়নায় সজ্জিত হয়ে বাজারে আসেন সম্ভাব্য কনেরা। হাই হিল জুতো এবং মিনি স্কার্ট পরে মোহময়ী আবেদনে পুরুষদের আকৃষ্ট করেন তাঁরা।

advertisement

আরও পড়ুন– শনির কৃপায় বদলাতে চলেছে ভাগ্য, এই ৩ রাশির জীবনে আসছে বরদানের বারিধারা

মূলত সেখানকার দরিদ্র পরিবারগুলি এভাবেই মেয়েদের বিয়ে দিয়ে থাকে। আবার এটা কালাইদঝি সম্প্রদায়ের সংস্কৃতির অঙ্গও। এই সম্প্রদায়ের মানুষগুলি সাধারণত তামার কাজ করে থাকে। নিজেদের বিশ্বাস এবং আচারের কারণেই এই সম্প্রদায়ের মানুষগুলি সংবাদ শিরোনামে পৌঁছে গিয়েছে। কনের বাজারে নানা ধরনের মানুষ জড়ো হয়ে নাচে-গানে মাতে। গল্প-আড্ডার ফাঁকে পানাহারও চলে। এই এলাকাটা আবার জিপসি ব্রাইড মার্কেট নামেও পরিচিত।

advertisement

কনের সঙ্গে বাজারে আসেন তাঁদের মায়েরাও। সুন্দর সাজসজ্জা করে তাঁরাও থাকেন মেয়েদের পাশে। কনেদের মায়েদের মধ্যে একটা গরিমাও কাজ করে। কারণ মায়েরা ভাবেন যে, তাঁরা এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছেন, যেখানে তাঁরা নিজেদের সমাজের ঐতিহ্য-সংস্কৃতি পালন করতে সক্ষম হয়েছেন।

আরও পড়ুন-চাঁদ এত গরম, অপ্রত্যাশিত তাপমাত্রার রেকর্ড! বিক্রমের রিপোর্টে অবাক বিজ্ঞানীরা

advertisement

এই সম্প্রদায়ের মানুষগুলি এক সময় বুলগেরিয়াতে এসেছিল। শুধু সেখানেই নয়, পূর্ব ইউরোপের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়েছিল তারা। এটা ১২-১৪ শতকের ঘটনা। এই সম্প্রদায়ের সমাজের রীতিনীতি অনুসারে, গ্রামে তারা একে অপরের থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে বসবাস করে। গ্রামের পুরুষ সদস্যদের সঙ্গে মেয়ে এবং মহিলাদের দেখা করার কোনও অনুমতি থাকে না।

advertisement

কালাইদঝি সম্প্রদায়ের পরিবারগুলিতে মেয়েদের কুমারীত্বকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এই কুমারীত্বের জোরেই কনের বাজারে বেশি দাম পায় কনের পরিবারগুলি। অর্থাৎ কুমারীত্ব হারানো মেয়েদের পরিবারগুলি কম টাকা পায়। বউ বাজারে শুধুমাত্র পরিবারের উপস্থিতিতেই পুরুষদের সঙ্গে আলাপ করার অনুমতি থাকে ওই সম্প্রদায়ের মেয়েদের। তবে আজ প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে অবশ্য ওই সম্প্রদায়ের মেয়েরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পুরুষদের সঙ্গে আলাপ করতে পারে।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কটুক্তি 'চুলোয় যাক'! লক্ষ্য স্থির রেখে সফল তৃতীয় লিঙ্গের দুই প্রতিমা শিল্পী
আরও দেখুন

সম্প্রদায়ের বাইরে অন্য কোনও পুরুষকে বিয়ে করার অধিকার নেই মেয়েদের। আজ আধুনিক যুগেও এমন বাজারের কথা শুনে স্বাভাবিক ভাবেই চমকে উঠছেন গোটা বিশ্ববাসী। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের একটি পত্রিকার প্রতিবেদনে তো এই কনের বাজারের বিষয়ে বলা হয়েছে যে, “ওই বাজার থেকে পুরুষরা আসলে বউ কেনেন না, বরং কেনেন মেয়েদের কুমারীত্ব।”

বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
Brides for Sale: পুরুষশাসিত সমাজে দিব্যি রমরমিয়ে চলছে ‘বউ বাজার’! অর্থের বিনিময়ে চলে কনে বিকিকিনি
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল