অঙ্কিতা দেবী নিজেই দেখভালের দায়িত্বে, পোষ্যদের খাবার থেকে শুরু করে ওষুধ, প্রতিদিনের যত্ন-সবই চলে ঘড়ির কাঁটা মেনে। তিনি জানান, নিলুকে আনা হয়েছিল সিকিমের ঠান্ডা পরিবেশ থেকে। তাই এখানকার গরম আবহাওয়ায় মানিয়ে নিতে তার জন্য আলাদা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরের ব্যবস্থাও করেছেন দম্পতি। বয়স এখন প্রায় দুই বছর। বিদেশ ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় পাসপোর্ট তৈরি হলেও এখনও টুটি-ফ্রুটি-নিলুর আন্তর্জাতিক সফর হয়ে ওঠেনি সেভাবে।
advertisement
কেশব ও অঙ্কিতা যখন বিদেশে যান, তখন বাড়িতে শাশুড়িই এই তিন আদরের পোষ্যের দেখভালের দায়িত্ব নেন। অঙ্কিতা জানান, পাসপোর্ট থাকলেও এখনও বিমানে ওঠা হয়নি ওদের, তবে যে কোনও সময়ে যাতে নিয়ে যাওয়া যায়, সেই প্রস্তুতি সবসময়ই রাখা আছে। একসময় দে পরিবারের এই বাড়িতে সাতটি বিড়াল ছিল। এখন রয়েছে মাত্র এই তিন সদস্য, যারা একেবারে পরিবারেরই অঙ্গ হয়ে উঠেছে।
ঘরের আদর-যত্নে বেড়ে ওঠা এই বিড়ালদের জীবনযাপন যেন অবিকল এক বিশেষ যত্নে বড় হয়ে ওঠা সন্তানের মতোই। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এখন টুটি, ফ্রুটি ও নিলু বেশ পরিচিত মুখ। তাদের যত্ন, দেখভাল এবং এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ দেখে অনেকেই বিস্মিত ও মুগ্ধ। বিড়ালের নামে পাসপোর্ট এটা হয়তো বিরল ঘটনা, কিন্তু হাবড়ার দে পরিবারের জন্য যেন এটি ভালবাসারই আর এক অন্য রূপ।
Rudra Narayan Roy