TRENDING:

প্রতিদিন স্টেশনে যেতেন যুবক, জিআরপি ধরতেই গোপন কথা ফাঁস! চাকরি গেল চার কনস্টেবলের

Last Updated:

Bilaspur Latest News : অভিযোগ, ছত্তিশগড়ের বিলাসপুর স্টেশন এবং ট্রেনগুলিতে পাচারকারীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বেআইনি গাঁজার ব্যবসা চালাতেন চার কনস্টেবল। ডিজিপি দলের নেতৃত্বে ২৫০ ট্রেনে রেইকি চালানোর পর তাঁদের গ্রেফতার করেছে জিআরপি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
উমেশ মৌর্য, বিলাসপুর: জিআরপি-এর অ্যান্টি ক্রাইম ইউনিটের চার কনস্টেবলই গাঁজা পাচারের নাটের গুরু! তদন্তে উঠে এল এমনটাই। অভিযোগ, ছত্তিশগড়ের বিলাসপুর স্টেশন এবং ট্রেনগুলিতে পাচারকারীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বেআইনি গাঁজার ব্যবসা চালাতেন চার কনস্টেবল। ডিজিপি দলের নেতৃত্বে ২৫০ ট্রেনে রেইকি চালানোর পর তাঁদের গ্রেফতার করেছে জিআরপি।
চাকরি গেল ৪ কনস্টেবলের
চাকরি গেল ৪ কনস্টেবলের
advertisement

ধৃতরা হলেন মান্নু প্রজাপতি, সৌরভ নাগবংশী, সন্তোষ ঠাকুর এবং লক্ষণ গাইন। পদমর্যাদার অপব্যবহারের অভিযোগে চার জনকেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বর্তমানে বিলাসপুরের এসপি-এর নেতৃত্বে পুরো মামলার তদন্ত চলছে। ধৃত চারজনকেই জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুধু গাঁজা পাচার নয়, তদন্তে বিপুল অঙ্কের আর্থিক কেলেঙ্কারির হদিশও মিলেছে।

আরও পড়ুন– ‘3 Idiots’-এর ‘চতুর রামলিঙ্গম’কে মনে আছে? এখন তাঁকে দেখলে মাথা ঘুরে যাবে, কী করছেন তিনি?

advertisement

গাঁজা পাচারের তদন্তে নেমে ধৃত ৪ কনস্টেবল এবং তাঁদের আত্মীয়দের ৪৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা করে পুলিশ। তাতে দেখা গিয়েছে অভিযুক্ত লক্ষণ গাইন কোটিপতি। আত্মীয়দের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। বেশ কিছু জাল অ্যাকাউন্টের হদিশও মিলেছে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জিআরপি-এর কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে অনুমান তদন্তকারীদের।

advertisement

আরও পড়ুন– ট্রেনে রিজার্ভেশন করে লুডো খেলতেন যুবক, প্রতিদিন যাতায়াত করতেন, GRP ধরতে সামনে এল আসল রহস্য!

জিআরপি-এর এই চার কনস্টেবল ছিলেন অ্যান্টি ক্রাইম ইউনিটে। ট্রেনে মাদক দ্রব্য যেমন গাঁজা, আফিম, মদ এবং বেআইনি অস্ত্র পাচার রোখাই ছিল এঁদের কাজ। রায়গড় থেকে রায়পুর এবং রাজনন্দগাঁও পর্যন্ত বিভিন্ন ট্রেনে গিয়ে চেকিং করতেন তাঁরা। বিপুল ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছিল। নিজের এখতিয়ারের বাইরে গিয়েও কাজ করতে পারতেন। সরাসরি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের রিপোর্ট করার স্বাধীনতাও পেয়েছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, এই ক্ষমতার অপব্যবহার করেই চার কনস্টেবল সরাসরি গাঁজা পাচারকারীদের সঙ্গে হাত মেলান। তারপর নিজেরাই ব্যবসা শুরু করেন।

advertisement

আরও পড়ুন– রাতের অন্ধকার নামলেই ঝলমল করে উঠত চারিদিক! মানুষের ভিড়ে গমগম করত এলাকা, এরপর পুলিশ আসতেই হল রহস্যের পর্দাফাঁস

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

গত ২৩ অক্টোবর বিলাসপুর জিআরপি-তে ১০ কেজি করে গাঁজা পাচারের দুটি মামলা দায়ের হয়। জবলপুরের বাসিন্দা যোগেশ সান্ধিয়া এবং বান্দার রোহিত দ্বিবেদীকে গাঁজা সহ গ্রেফতার করে জিআরপি। জিজ্ঞাসাবাদে যোগেশ জানায়, সে বিলাসপুরের ভাড়া বাড়িতে থাকে। জিআরপি থানার কনস্টেবল লক্ষণ গাইন, মান্নু প্রজাপতি, সৌরভ নাগবংশী এবং সন্তোষ ঠাকুরের কথাতেই সে ওড়িশা থেকে গাঁজা নিয়ে এসে বিলাসপুরে বিক্রি করত। স্টেশনে যাতে নিরাপদে গাঁজা বিক্রি করতে পারে তা দেখতেন ওই ৪ কনস্টেবল। লাভের একটা অংশও তাঁদেরকে দিতে হত। এরপরই চার কনস্টেবলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। মামলা যায় রেঞ্জ সাইবার থানায়। সাইবার সেলের টিআই রাজেশ মিশ্র ওই চার কনস্টেবলকে গ্রেফতার করেন।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
প্রতিদিন স্টেশনে যেতেন যুবক, জিআরপি ধরতেই গোপন কথা ফাঁস! চাকরি গেল চার কনস্টেবলের
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল