ঐতিহাসিক শহরের নামের উৎপত্তি ঘিরে রয়েছে একাধিক মত। অনেকের মতে খ্রীস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে ২৪তম জৈন তীর্থঙ্কর, বর্ধমান মহাবীর এই এলাকায় কিছুদিন অতিবাহিত করেছিলেন তার নামানুসারেই নাম হয় বর্ধমান, আবার অনেকের মতে প্রাচীন কাল থেকেই বর্ধমান ছিল একটি দ্রুত উন্নয়নশীল বাণিজ্য কেন্দ্র। ‘বর্ধমান’ শব্দের আভিধানিক অর্থ হল ‘যা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হচ্ছে’ বা ‘সমৃদ্ধ কেন্দ্র’।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দীর্ঘদিন বাক্সবন্দি কম্বলে স্যাঁতস্যাঁতে কোনও গন্ধই হবে না, বিনা পয়সার কৌশলে বছরভর থাকবে সতেজ, জানুন
উচ্চ গঙ্গা উপত্যকা থেকে আর্যীকরণের সময় এই জনপদটি দ্রুত উন্নতি লাভ করেছিল। বর্ধিষ্ণুতা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবেই এই এলাকার নামকরণ করা হয় ‘বর্ধমান’। প্রশাসনিক কাজের সুবিধার জন্য ২০১৭ সালে অবিভক্ত বর্ধমান জেলাকে পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম বর্ধমান এই দুটি জেলায় বিভক্ত করা হয়। বর্তমানে বর্ধমান শহর পূর্ব বর্ধমান জেলার সদর দফতর।
আরও পড়ুনঃ শীতে মাত্র ৩ মাস মেলে ওল জাতীয় সবজিটি, ক্যালসিয়াম-ম্যাঙ্গানিজের খনি, পাতে থাকলে লৌহকঠিন হাড়
আজও বর্ধমান তার সমৃদ্ধ ইতিহাস, স্থাপত্য (যেমন ১০৮ শিব মন্দির, সর্বমঙ্গলা মন্দির, রাজবাটি) এবং বহু সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ধারণ করে। পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে এই শহর। ইতিহাসবিদ সর্বজিৎ যশ জানান, বর্ধমানে নামকরণ নিয়ে রয়েছে নানান মত, শোনা যায় জৈন তীর্থঙ্কর বর্ধমান মহাবীর এর নাম থেকে বর্ধমানের নাম এসেছে কিন্তু মহাবীর যখন এই এলাকায় এসেছিলেন মঙ্গলকোটের কাছে তার আগেই বর্ধমান পুরমের নাম পাওয়া যাচ্ছে। বর্ধমান এই নামটির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে গোটা একটি জেলার পরিচয়, যেখানে রোজ সকালে বাঁধা হয় লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনের সুর। এই শহরের প্রতিটি ধূলিকণা যেন মিশে আছে সেই প্রাচীন গৌরবের ইতিহাস।





