কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া বন্দীরা ভারতীয় আইনের ৩০২, ৩০৭-এর মতো আইনি ধারার মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন। ১৪ বছরের শাস্তি এবং ৬ বছরের রেহাই মারফত তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তির আগে কারাকর্তৃপক্ষ বন্দীদের কাজের জন্য অর্থও প্রদান করে। এর পাশাপাশি যাঁরা চিকিৎসাধীন ছিলেন তাঁদের চিকিৎসাব্যবস্থা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপত্র ও ওষুধও দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের বলা হয়েছে যে এই প্রেসক্রিপশনের ভিত্তিতে জেলের বাইরেও তাঁদের চিকিৎসা করা হবে।
advertisement
এই দিনে মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীদের মালা দিয়ে বিদায় জানানো হয়। জেল সুপার দীনেশ নারগাভে তাঁদের বুঝিয়ে বলেন যে, তাঁরা যেন বাইরে বেরোনোর পর কোনও প্রকারের অন্যায় কাজ না করেন. যাতে তাঁদের আবার জেলে আসতে হয়। এরই পাশাপাশি মুক্তিপ্রাপ্তদের সবাইকে মিষ্টি ও খাবারের প্যাকেটও দেওয়া হয়।
জেল সুপার দীনেশ নারগাভে জানিয়েছেন যে, এখনও পর্যন্ত ১৫ অগাস্ট এবং ২৬ জানুয়ারিতে তাঁরা বন্দীদের মুক্তি ঘোষণা করতেন। তবে গত বছর থেকে, ১৪ এপ্রিল এবং ২ অক্টোবরও মুক্তিদিবস হিসেবে তাঁরা বন্দীদের মুক্তি ঘোষণা শুরু করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় এবারের গান্ধি জয়ন্তীতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কিছু বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।