এক সময়ের ‘দরিদ্রদের খাবার’ আজ সুপারফুড; প্রাণঘাতী রোগ তুড়ি মেরে তাড়াতে দারুণ উপযোগী এই শস্য
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
Ragi Benefits: আজ এই শস্য ধনীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এই বছরটাকে আবার মিলেটের বছর বলেও ঘোষণা করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।
বর্তমানে গোটা বিশ্বে সুপারফুডের তালিকায় উঠে এসেছে রাগির নাম। ছোট্ট মোটা দানার মতো গোলাকার এই শস্য কয়েক দশক আগে পর্যন্তও তেমন জনপ্রিয় ছিল না। আসলে এক সময় এই শস্যকে ‘দরিদ্রদের খাবার’ বলেই বিবেচনা করা হত। এমনকী রাগিকে অবজ্ঞার চোখেও দেখা হত। কিন্তু সময় বদলে গিয়েছে। আজ এই শস্য ধনীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এই বছরটাকে আবার মিলেটের বছর বলেও ঘোষণা করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।
advertisement
রাগির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান বর্তমান। ফলে তা স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। রাগিতে আসলে নানা ধরনের ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবার পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি এতে নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও থাকে, যা ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সহায়ক। হৃদরোগ থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং দেহের পেশি - এইসব কিছুর জন্যই অত্যন্ত উপকারী রাগি। যাইহোক, জেনে নেওয়া যাক রাগির গুণাগুণ।
advertisement
ক্যানসারের ঝুঁকি প্রতিরোধ: এনসিবিআই-এর গবেষণা অনুযায়ী, রাগিতে ক্যানসার প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে পাকস্থলীর ক্যানসার প্রতিরোধে দারুণ উপযোগী রাগি। কারণ এই শস্যের মধ্যে উপস্থিত থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা কোষ থেকে ফ্রি র্যাডিক্যালস দূর করে। ফলে ক্যানসার কোষ বাড়তে পারে না।
advertisement
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ: গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে যে, রাগি ডায়েটারি ফাইবার সমৃদ্ধ একটি সুপারফুড। এই শস্য গ্লুটেন ফ্রি-ও বটে! এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই কম। রাগিতে ০.৩৮ শতাংশ ক্যালসিয়াম, ১৮ শতাংশ ডায়েটারি ফাইবার এবং ৩ শতাংশ ফেনোলিক যৌগ থাকে। যার কারণে এটি অ্যান্টি-ডায়াবেটিক এবং অ্যান্টি-টিউমারোজেনিক হয়ে ওঠে। আর রাগি খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে পারে না।
advertisement
advertisement
advertisement