বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিষধর সাপের ছোবলে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত সর্প দংশনের কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। সকলকে যথাসময়ে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া গিয়েছে, তাই আক্রান্তরা সকলেই বেঁচে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তা সত্ত্বেও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।
আরও পড়ুন: বুলেট চালিয়ে ফুচকা বেচেন ‘বি.টেক পানিপুরি-ওয়ালি’! এই তরুণীর গল্প অবাক করে দেবে
advertisement
সাম্প্রতিক একটি ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছে সিওয়ান জেলার বদরাম অঞ্চল থেকে। সেখানে ১০ বছরের একটি সাপ বুনোফুলের মধ্যে লুকিয়ে বসে ছিল। বদরম গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইল আহমেদের বাড়িতে একটি সাপ লুকিয়েছিল। ঘরের চার দেয়ালে গজিয়ে ওঠা বুনো ফুলের মাঝে লুকিয়ে ছিল এই সাপটি। এই সাপটি একটি ব্যাঙকে আক্রমণ করলে পরিবারের সদস্যদের নজরে আসে বিষয়টি। সাপ ও ব্যাঙের লড়াইয়ের শব্দ শুনে বাড়ির সদস্যরা প্রাচীরের ধারে উঁকি দিয়ে এই সাপটিকে দেখতে পান। লম্বায় প্রায় ৫ ফুটের এই সাপটি একটি ব্যাঙকে ধরে খাওয়ার চেষ্টা করছিল।
এরপর তড়িঘড়ি করে ওই পরিবারের সদস্যরা বেসরকারি উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। উদ্ধারকারী দল ওই স্থানে পৌঁছে সাপটিকে উদ্ধার করে। উদ্ধারের সময় সাপটি তার ফণা ছড়িয়ে কয়েকবার উঠে দাঁড়ায় এবং ওই দলের সদস্যদের কামড়ানোর চেষ্টাও করে। তবে শেষ পর্যন্ত উদ্ধারকারী দলের প্রচেষ্টায় ওই সাপটিকে ধরা হয়েছে।
ওই সাপটিকে উদ্ধার করতে আসা শত্রুঘ্ন কুমার জানান, এই সাপটির অনেক বয়স। অন্তত ১০ বছর বয়স তো হবেই। এই বয়সের সাপে বিষের পরিমাণ সর্বাধিক থাকে। এই ধরনের বিষধর সাপ গর্ত থেকে বের হয় না সাধারণত। স্থায়ী বাসস্থানের জন্য এরা সাধারণ বাড়ির অব্যবহৃত কোনও অংশকে বেছে নেয়। তবে অত্যাধিক বৃষ্টির কারণে এই সাপটি বেরিয়ে এসেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। সৌভাগ্যক্রমে এই সাপটি কোনও মানুষকে দংশন করেনি।
