তবে শুধুমাত্র একজন দু’জন নয়, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রত্যেকটি প্রসূতির পরিবারের কাছেই টাকা চাওয়া হয়। পুত্রসন্তান জন্মালে আরও বেশি টাকা আবদার করা হয়। আর দাবি অনুযায়ী টাকা না দিলে গালিগালাজ করা হয় বলেই অভিযোগ। জানা গিয়েছে, প্রসব বেদনা নিয়ে বালুরঘাট সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন বালুরঘাট পদ্মপুকুর এলাকার বাসিন্দা রিংকি গিরি। ভর্তির কিছুক্ষণ বাদেই কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তিনি।
advertisement
সন্তান জন্মানোর পরেই মিষ্টিমুখ করার জন্য তাঁর পরিবারের কাছে ৫০০ টাকা দাবি করেন লেবার রুমের অস্থায়ী কর্মী ও আয়া মাসিরা। সেই টাকা না দেওয়ায় তাঁর পরিবারকে গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ। যদিও আবার অনেকে ঝামেলা এড়াতে টাকা দিয়েও দেন অনেক পরিবার।
এদিন একইরকম পরিস্থিতি দেখা দিতেই এনিয়ে অনেক প্রসূতি রোগীর আত্মীয়রা লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছে সুপারকে। বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এমন অভিযোগ পেতেই নড়েচড়ে বসেছে। দ্রুত গুরুতর অভিযোগ নিয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সুপার। তবে, এই অভিযোগ দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। রোগীর পরিজনদের দাবি, শিশু জন্মানোর পর অতিরিক্ত মূল্য হাসপাতালের কর্মীদের দিতে যথেষ্টই বেগ পেতে হচ্ছে। অনেক পরিবারই রয়েছে টাকার অভাবে সরকারি হাসপাতালই তাদের একমাত্র ভরসা। সেক্ষেত্রে টাকা না দিতে পারলে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন যথেষ্ট।
সুস্মিতা গোস্বামী