রাজ্য পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন দফতরের সফটওয়্যার বিশেষজ্ঞ অভিজিত দাস জানিয়েছেন, এই পোর্টালের মাধ্যমে প্রকল্প রূপায়ন, টেন্ডার আহ্বান, আর্থিক লেনদেন— সব কিছুই ডিজিটালভাবে সম্পন্ন হবে। এমনকি, গ্রাম সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তও এই পোর্টালে আপলোড করতে হবে, যাতে নিচু তলার প্রশাসনিক কার্যক্রমের স্বচ্ছতা বজায় থাকে।এই নতুন ব্যবস্থা কার্যকর করার জন্য জলপাইগুড়ির রানীনগর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের বিশেষজ্ঞরা কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবেন। পোর্টাল ব্যবহারে দক্ষতা বাড়ানোর জন্য পঞ্চায়েতের কর্মীদের সময় লাগলেও একবার অভ্যস্ত হয়ে গেলে কাজের গতি এবং কার্যকারিতা অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা।
advertisement
মাল পঞ্চায়েত সমিতির হিসাবরক্ষক স্নিগ্ধা বিশ্বাস বলেন, “প্রথমে হয়তো কিছুটা অসুবিধা হবে, কিন্তু ম্যানুয়াল কাজের বদলে সব কিছু অনলাইনে হলে ঝামেলা কমবে, স্বচ্ছতাও বজায় থাকবে।” রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, পঞ্চায়েতের কোনও কাজ যদি পোর্টালে আপলোড না করা হয়, তবে তা নজরে এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর ফলে রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত অনিয়ম এবং কর ফাঁকি অনেকটাই কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। ১ এপ্রিল থেকে পঞ্চায়েতের কাজ ডিজিটাল হওয়া রাজ্যের প্রশাসনিক কাজের স্বচ্ছতায় এটি নিঃসন্দেহে এক বড় পদক্ষেপ।
সুরজিৎ দে





