ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, ১৮৩৫ সালে শিলিগুড়ি দার্জিলিং-এর অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর এলাকার বিশিষ্টজনেরা কালীপ্রসন্ন ভট্টাচার্যের তদারকিতে ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেখান থেকেই শুরু হয় থিয়েটার চর্চার ধারা। পরে সুরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মিত্র সম্মিলনীর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। তাঁর দান করা জমিতেই তৈরি হয়েছিল এই মঞ্চ, যেখানে একসময় শম্ভু মিত্র, উৎপল দত্ত, শিশির ভাদুড়ীর মতো কিংবদন্তি শিল্পীরা নিয়মিত নাটক পরিবেশন করতেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতির আশঙ্কা, ট্রাম্পের এক ঘোষণায় সর্বনাশের ভয়! দিশেহারা বসিরহাটের বহু মানুষ
সময়ের সঙ্গে ধীরে ধীরে ম্লান হতে থাকে আলো। একসময় সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র হয়ে ওঠা এই হল আজ নবযুগের ঝড়ে পিছিয়ে পড়েছে। তবে হাল ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছেন বর্তমান সম্পাদক সৌরভ ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, ‘মঞ্চ নির্মাণের পাশাপাশি আমরা পরিকল্পনা করেছি মিত্র সম্মিলনীর ঐতিহ্য রক্ষার। যতই অসুবিধা থাকুক না কেন, খুব শীঘ্রই শহর পেতে চলেছে দীনবন্ধু মঞ্চের মতো আরেকটি মঞ্চ’।
নাট্য সম্পাদক অংশুমান চক্রবর্তী জানান, ‘এখানে ফের আগের মতো নাটক ও সাংস্কৃতিক চর্চা শুরু হবে। ইতিমধ্যেই জোরকদমে মেরামতের কাজ চলছে। খুব শীঘ্রই শিল্পীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে এই মঞ্চ’।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শহর শিলিগুড়ির ইতিহাসে মিত্র সম্মিলনী শুধু একটি থিয়েটার হল নয়, বরং সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র। সময়ের স্রোতে একসময় ম্লান হয়ে গেলেও, নতুন প্রজন্মের উদ্যোগে ফের এই ঐতিহ্যবাহী মঞ্চ জৌলুস ফিরে পেতে চলেছে। আগামী দিনে যখন নাট্যচর্চা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে মুখরিত হবে মিত্র সম্মিলনী, তখন শিলিগুড়ি শহর ফিরে পাবে তাঁর হারানো গৌরব।