মৎস চাষি ইউসুফ আলী জানান, শীতের সময়ে মাছেদের বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এ সময় মাছের খাওয়া দাওয়া অনেকটাই বন্ধ থাকে। বেঁচে থাকার জন্যে অল্প পরিমাণে খায়। এ সময়ে বিভিন্ন রোগবালাই ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ বেশি হয়ে থাকে। এ সময়ে শতক প্রতি এক কেজি করে চুন জলে মিশিয়ে ঠাণ্ডা অবস্থায় সমস্ত পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে। ১৫ দিন অন্তর অন্তর শীতকালে পুকুর কিংবা ডোবায় অবশ্যই চুন, লবণ, গুড় দিতে ভুলবেন না। আর শীতকালে অবশ্যই জলশোধন করতে হবে। লবণ জল দিয়ে অবশ্যই শীতকালে জলশোধন করতে হবে, নইলে মাছেদের বিভিন্ন রোগ দেখা দেবে। এছাড়াও পুকুরে মাছের ঘনত্বকে খুবই গুরুত্ব দিতে হবে। কোনওভাবেই যেন মাছের পরিমাণ বেশি না হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: জটিল চর্মরোগ, হাঁটুর ব্যথা, সর্দি-কাশির যম এই শাক! বাড়ির আশে-পাশেই পেয়ে যাবেন! চিনে নিন
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্বাভাবিক অনুপাত হল প্রতি শতকে চার ইঞ্চি আকারের ৪০টা পোনা রাখা যাবে। আকারে বড় হলে সংখ্যা কমে আসবে। শীতের সময়ে জাল দিয়ে ঘন ঘন মাছ ধরা যাবে না। শীতের সময় সামান্য খাবার দিতে হবে মাছেদের। অতিরিক্ত খাবার দিলে জলের নিচে পচে গ্যাস তৈরি হবে। এতে মাছেরা মরেও যেতে পারে। মাছের আয়তনের ওপর খাবার দিতে হবে। এক থেকে দুই ভাগ দিলেই হবে। খাবার দিতে হবে সকাল ও বিকেলে। শীতকালে কার্প ও শিং জাতীয় মাছে ড্রপসি বা উদর ফোলা রোগ দেখা দেয়। মাছের ক্ষত রোগ যাতে না হয় সে ব্যবস্থা করতে হবে। আর এ রোগের প্রতিকারে প্রতি কেজি খাদ্যের সাথে ১০০ মিলিগ্রাম টেরামাইসিন বা স্ট্রেপটোমাইসিন পরপর সাত দিন খাওয়াতে হবে। এই ভাবে কিছু নিয়ম মেনে করতে হবে মাছ চাষ
পিয়া গুপ্তা