স্থানীয় সূত্রে জানতে পারা গিয়েছে, “এদিন তরুণ রায় নামে এক ব্যক্তি তাঁর ছাগলের বিকট ডাক শুনে গোয়াল ঘরে ঢোকেন। গোয়াল ঘরে ঢুকতেই রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সেই ব্যক্তি। তিনি দেখেন একটি চিতাবাঘ ছাগলের গলা কামড়ে ধরে রেখেছে।
advertisement
চিতাবাঘের হানায় অস্থির – Photo- Representative
সেটা দেখে তিনি তারস্বরে চিৎকারে শুরু করে দেন। তাঁর চিৎকার শুনে ছুটে আসেন আশপাশের স্থানীয় মানুষেরা। মানুষের ভিড় দেখে চিতাবাঘটি দ্রুত গোয়াল ঘর থেকে বেরিয়ে একছুটে ঠাকুরঘরে ঢুকে পড়ে। এরপর খবর পাঠানহয় বন দফতরের কাছে। বন দফতরের কর্মীরা এসে চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করেন।”
তরুণ রায় জানান, “চিতাবাঘটিকে দেখে রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি। কোনোও দিশা না পেয়ে চিৎকার শুরু করেন তিনি। এরপর খবর পেয়ে বন দফতরের কর্মীরা আসেন তাঁর বাড়িতে। ততক্ষণে চিতাবাঘটি ঠাকুরঘরে ঢুকে পড়ে। তারপর বনকর্মীরা ঠাকুরঘরের চারদিক জাল দিয়ে ঘিরে ঘুমপাড়ানি গুলি করে চিতাবাঘটিকে কাবু করেন।” কোচবিহারের এডিএফও বিজনকুমার নাথ জানান, “পুণ্ডিবাড়ি, চিলাপাতা ও জলদাপাড়া রেঞ্জের কর্মীরা যৌথ ভাবে এই চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করেন। ঘুমপাড়ানি গুলি করে চিতাবাঘকে কাবু করা হয়।”
বন দফতরের সূত্রে জানা গিয়েছে, “চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করে জলদাপাড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর সেটিকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর জলদাপাড়ার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।” যদিও বাঘটিকে উদ্ধারের পর হাফ ছেড়ে বাঁচেন বাড়ির মালিক ও প্রতিবেশীরা। তবে লোকালয়ে এভাবে বন্য জন্তুর আগমনের ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়।
Sarthak Pandit