হাসপতালের এক কর্মী জানান, “অন্যান্য রোগীর মতন হাসপাতালে ভর্তির জন্য এসেছিল ওই রোগী। তবে ভর্তির আগে ইমার্জেন্সীতে থাকা ডাক্তারকে দেখিয়ে টিকিট করাতে হয়। সেই সময় রোগী ডাক্তারকে জানান যে তাঁকে পায়ের মধ্যে সাপে কামড়েছে। এরপর ডাক্তার কোন সাপ কামড়েছে প্রশ্ন করলে রোগী জানায় সাপটি সম্পর্কে সে জানেনা। তবে সে তাঁর সঙ্গে করে আনা একটি প্লাস্টিকের বয়ামের ভেতরে থাকা সাপটি বয়াম সমেত তুলে ধরে ডাক্তারের সামনে। আর এতেই অবাক হয়ে যান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরে থাকা মানুষেরা।”
advertisement
এই বিষয়ে রোগীর মামা শুভেন্দু ভৌমিক জানান, “তাঁর বছর ১৫-এর ভাগ্নিকে রাতে পায়ের মধ্যে একটি সাপ কামড়ায়। যদিও পরিবারের মানুষেরা সাপটিকে চিনতে পারছিলেন না। সাপটি বিষয়ধর, নাকি নির্বিষ সেই বিষয়ে সঠিক ধারণা না থাকায় সাপটিকে কোনোও রকমে আটক করেন তাঁরা। তারপর তাঁরা বলরামপুর থেকে সোজা মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালে আসেন ভাগ্নিকে ভর্তি করাতে। সঙ্গে তাঁরা সাপটিকেও এনেছিলেন বয়ামে করে। যদিও ভর্তি করাতে এসে ডাক্তারকে দেখিয়ে তাঁরা জানতে পারেন সাপটি নির্বিষ সাপ। তাই কিছুটা আতঙ্ক কমছে তাঁদের।”
সর্প উদ্ধারকারী অর্ধেন্দু বণিক জানান, “এই সাপটি সম্পুর্ণ নির্বিষ একটি সাপ। তাই এই সাপকে নিয়ে অযথা ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। জলঢোঁড়া বা আটঘরিয়া নামেই সর্বত্র পরিচিত এই সাপটি। জলাশয় বা নদীর পাশে থাকে এটি। তবে অধিকাংশ সময় এরা মাথা উঁচিয়ে এবং গলা ছড়িয়ে বিষধর সাপের ফণা তোলার অনুকরণ করে ভয় দেখানোর জন্য।” এই ঘটনার পর সর্প উদ্ধারকারীরা এসে সাপটিকে উদ্ধারকরে নিয়ে যান। এরপর সাপটিকে হাসপাতাল থেকে কিছুটা দূরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
Sarthak Pandit