এই মন্দিরে পূজিত বাবা ষাতেশ্বর মন্দিরে ছোট শিব বলেই বেশি পরিচিত কোচবিহারের মানুষের কাছে। এছাড়াও এই মন্দিরে দেবী দুর্গার পুজোও করা হয়। এই মন্দিরের পরিবেশ যেকোন পর্যটককে আকর্ষণ করে। তাই প্রতিদিন বহু মানুষ এই মন্দিরে ভিড় জমান পুজোর সময়।
আরও পড়ুন: কোন রঙের পোশাক পরলে বেশি গরম লাগে…? আপনি জানেন সঠিক উত্তর? দেখুন মিলিয়ে
advertisement
স্থানীয় এক বৃদ্ধ বাসিন্দা রমানাথ বর্মন জানান, “প্রতিদিন সকালে ১০-টায় খুলে দেওয়া হয় মন্দির প্রাঙ্গণ। সকলের পুজো শেষ হয়ে গেলে শুরু হয় ভোগ নিবেদনের প্রক্রিয়া। তারপর মন্দির বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিকেল বেলায় ৬-টার আবার খোলা হয় মন্দির। এবং মন্দির বন্ধ করা হয় সন্ধ্যা আরতি হওয়ায় পর। বহু আগে প্রতিষ্ঠিত এই মন্দিরেরশিব বেশ জাগ্রত বলেই মনে করে থাকেন কোচবিহারের মানুষেরা।”
এই মন্দিরে পুজো দেওয়ার নিয়ম হল। মন্দির চত্বর থেকে পুজো দেওয়ার কুপন সংগ্রহ করে পুজো দিয়ে হয়। শিব পুজোর সময় এখানে বিশেষ নিয়ম নীতি মেনে পুজো করা হয়। এছাড়া দুর্গা মন্দিরে দুর্গা পুজোর সময় পুজো করা বেশ কিছু পুরনো নিয়ম-নীতি মেনে।
এলাকার আরেক বাসিন্দা মানু বর্মন জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে থাকা এই মন্দিরের বেশ কিছু সংস্কারের কাজ করা হয়েছে। যার ফলে মন্দিরের পরিবেশ অনেকটাই সুন্দর হয়ে গিয়েছে। প্রতিদিন বহু মানুষ এই মন্দিরে আসেন পুজো দিতে।” কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের সম্পাদক বিশ্বদীপ মুখোপাধ্যায় জানান, “মন্দিরের বর্তমান সময়ে সম্পূর্ণ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড। মন্দিরের এলাকার সংস্কারের জন্য বেশ কিছু কাজ করা হয়েছে কিছুদিন আগেই। মন্দিরের টিনের চাল সংস্কার করা হয়েছে। এছাড়াও মন্দিরে আগত পুণ্যার্থীদের জন্য বিশ্রামকক্ষ বানানো হয়েছে। আগামিদিনেও আরও বেশ কিছু সংস্কার কাজ করা হবে।”
সার্থক পণ্ডিত