জানাগিয়েছে, গত নভেম্বর মাসে মিজোরামের আইজল জেলায় কাজ করতে যান হবিবপুরের ওই যুবকেরা। গত ২৬ জানুয়ারি মিজোরামে গার্ড ওয়ালের কাজ করার সময় ধ্বস নেমেে মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে রয়েছে প্রেমকুমার মন্ডল (২৮) রতন মন্ডল (২৬) এবং অলোক মন্ডল (৩১)। পরিবার সূত্রে জানাগিয়েছে, আগামী ৩১ জানুয়ারি তিনজনেরই বাড়ি ফেরার কথা ছিল। ফেরার জন্য ট্রেনের টিকিটও কাটা হয়ে গিয়েছিল। এরইমধ্যে দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু।
advertisement
আরও পড়ুন: দেবকে কটাক্ষ, টেনে আনলেন এবার মিঠুনেরও নাম! 'বিস্ফোরক' বিজেপির হিরণ
এভাবে পরিবারের ছেলেরা বাড়ি ফিরবে না তা যেন কল্পনাই করতে পারছে না মৃতদের পরিবার। শনিবার রাতে গ্রামে কফিনবন্দি দেহ পৌঁছতেই কান্নার রোল পড়ে এলাকায়। মৃতদের মধ্যে প্রেমকুমার ও রতন সম্পর্কে খুড়তোত ভাই। মৃত তিনজনই বিবাহিত । এদের মধ্যে অলোকের ৮ মাসের এক ছেলেও রয়েছে। ফলে পরিবারের উপার্জনশীল ছেলেদের মৃত্যুতে ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়়তা তৈরি হয়েছে পরিবার গুলিতে।
আরও পড়ুন: 'আমি ওর জায়গায় হলে মানহানির মামলা করতাম,' হিরণকে কটাক্ষ অভিষেকের
জানা গিয়েছে, গত ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যা নাগাদ মিজোরামে গার্ডওয়ালের এর কাজ করছিলেন তাঁরা। আচমকা ধস নেমে আসায় গুরুতর আহত হয় তিনজনেই। তাঁদের হাসপাতালেে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিন রাতে বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সে দেহ আনা হয় গ্রামে।
এরআগেও একাধিকবার ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মালদহের পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে বিতর্কও কিছু কম হয়নি। এদিনও পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যুতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। মালদা উত্তরের বিজেপি সংসদ খগেন মুর্মুুুু বলেন, রাজ্যে কাজ নেই। তাই, বাধ্য হয়ে় বাইরে গিয়ে জেলার ছেলেদের অকালে প্রাণ যাচ্ছে। যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের পাল্টা অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছে। টাকা দেওয়া হচ্ছেনা। তাই বাধ্য হয়ে ভিন রাজ্যে যাচ্ছে যুবকেরা। এজন্য দায়ী কেন্দ্রীয় সরকার। প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছে, মৃতদের পরিবারের পাশে থেকে সম্ভাব্য সবধরনের সাহায্য ও সহযোগিতা করা হবে।