ইংরেজদের নীলকুঠি থেকে ভূপালচন্দ্র রাজবাড়ি একদিনের ছুটি নিয়ে ঘুরে আসুন ইটাহারের এই ঐতিহাসিক স্থান থেকে। উত্তর দিনাজপুর জেলা তথা উত্তরবঙ্গের অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থান গুলির মধ্যে অন্যতম রায়গঞ্জের ভূপালপুর রাজবাড়ি। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভূপালপুর রাজবাড়ি দেখতে আসেন বহু পর্যটক। রায়গঞ্জ থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে দুর্গাপুর এলাকায় নির্মিত এই রাজপ্রাসাদ ঐতিহাসিক অনেক স্মৃতি বহন করে। এই রাজবাড়ি থেকেই ভূপাল চন্দ্র রায়চৌধুরীর ভোরের আলো ফোটার আগেই বেড়িয়ে পড়তেন শিকারে। ছোটখাটো জন্তু-জানোয়ারের পাশাপাশি বাঘ শিকারও করেছিলেন তিনি। আজও রাজবাড়ির অন্দরমহলের দেওয়ালে টাঙানো রয়েছে রাজাবাবুর শিকার করা বাঘের ছাল থেকে হরিণের শিং।
advertisement
আরও পড়ুন: মাথায় হাত বাংলাদেশের! জমি দখলের পরে চার জাহাজ বন্দি করল মায়ানমারের আরাকান আর্মি
ইটাহার থেকে আর একটু ভিতরে গেলে আর একটি রাজবাড়ীর চোখে পড়বে। মহানন্দা নদীর পাশেই ইটাহারের চুরামন রায়চৌধুরী জমিদার বাড়ি। যা ছিল উত্তর দিনাজপুর জেলার বৃহত্তম জমিদারি। তাদের শরিকদের এই তৈরি ভূপাল চন্দ্র রাজবাড়ি। মহানন্দা নদীর বন্যাতে এই বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেলে, এই বাড়ির বংশধরেরা দুর্গাপুরে চলে আসে। জমিদার ভূপাল চন্দ্র রায়চৌধুরীর এই অনবদ্য জমিদার বাড়িটি তৈরী করান। এই বাড়ি তৈরির দায়িত্বভার দেন করেন মার্টিন ও বার্ণ কোম্পানিকে।
আরও পড়ুন: মেয়েকে বিবস্ত্র করে পুরুষদের সঙ্গে যৌনতার ভিডিও করতেন বাবা-মা! শিউরে ওঠার মতো ঘটনা
চূড়ামন থেকে ফিরে আসার পথে
এই ভূপাল চন্দ্র রায়চৌধুরীর জমিদার বাড়ির পাশেই একটু দূরে অবস্থিত স্বামীনাথের মন্দির। মন্দিরের ভিতরে বিষ্ণুর একটি কষ্টি পাথরের মূর্তি আজও বিদ্যমান। প্রতি বছর বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে ইটাহারের হাসুয়া গ্রামে এই মেলা বসে। সাত দিন ব্যাপী এই মেলায় যোগ দিতে দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন। এই মেলার সঙ্গে জড়িয়ে আছে বহু পুরনো ইতিহাস। উত্তর দিনাজপুর জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম মেলা এই স্বামীনাথের মেলা।
রায়গঞ্জ থেকে টোটো, ছোটো গাড়ি, বাস সব কিছু পেয়ে যাবেন এই জায়গা গুলোতে আসর জন্য। স্বামীনাথের মন্দিরে আসার জন্য প্রথমে রাজবাড়ী মোড়ে নেমে সেখান থেকে টোটো করে ২ কিমি গিয়ে পেয়ে যাবেন স্বামীনাথের এই মন্দির। এই উইকেন্ডে একদিনের ছুটি নিয়ে চলে আসুন উত্তর দিনাজপুর এর ইটাহারের এই ঐতিহাসিক স্থান গুলো থেকে।





